Gang Rape

‘গণধর্ষিতা’কে হেনস্থা! মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ১২ ঘণ্টা বসিয়ে রাখল সরকারি হাসপাতাল

‘গণধর্ষণের’ শিকার তরুণীকে বৃহস্পতিবার সকালে ভ্যানে করে নিয়ে যায় পুলিশ। ১২ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওড়িশার ঘটনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪১
Share:

গণধর্ষণের পর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমন দাবি করলেন ওড়িশার এক তরুণী। প্রতীকী ছবি।

গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার পর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য সকাল থেকে হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরতে হয়েছে। এমনকি, একটি সরকারি হাসপাতালে বসিয়ে রাখা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শেষমেশ রাতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হলেও তা সম্পূর্ণ হয়নি। পরীক্ষার জন্য পরের দিন আবার হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে ধর্ষিতাকে। এমনই অভিযোগ করেছেন ওড়িশার এক তরুণী। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, ইচ্ছাকৃত নয়, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক না থাকায় দেরি হয়েছে।

Advertisement

কেওনঝড় জেলার আনন্দপুর মহকুমার বাসিন্দা ৩৭ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, বুধবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে এক আত্মীয়াকে সঙ্গে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। গোহিরাবাই এলাকায় ৩ যুবক তাঁদের পথ আটকান। এর পর ওই আত্মীয়াকে হেনস্থার পর তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন।

বুধবারই সোসো থানায় গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। তাঁর দাবি, মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য চূ়ড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ভ্যানে করে তাঁকে আনন্দপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Advertisement

তরুণীর আরও দাবি, গণধর্ষণের ঘটনাটি সালানিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় হয়েছে বলে তাঁকে সেখানে পরীক্ষার জন্য যেতে হবে বলে জানিয়ে দেন ওই সরকারি হাসপাতালের আধিকারিকেরা। এর পর পুলিশের ভ্যানে করে সেখানে যান তিনি। তবে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও মহিলা চিকিৎসক না থাকায় তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করার পর সেখান থেকে তাঁকে আনন্দপুরের হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতে পুলিশ তাঁকে আনন্দপুরের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পর রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সেখানে তাঁর পরীক্ষা করা হয়। যদিও রাতের বেলায় পুরোপুরি পরীক্ষা করা হবে না বলে জানিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরের দিন শুক্রবার তাঁকে আবার ওই হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর তাঁর বাকি শারীরিক পরীক্ষা হয়। যদিও সোসো থানার ইনস্পেক্টর প্রদীপকুমার শেঠির পাল্টা দাবি, ‘‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলা চিকিৎসকের অভাবে আনন্দপুরের সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল অভিযোগকারিণীকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে মেডিক্যাল পরীক্ষায় দেরি করানো হয়নি। এমন কিছু অসুবিধা ছিল, যা এড়ানো যায়নি।’’

তরুণীর অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ কেওনঝড় জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশোরচন্দ্র প্রুস্থির অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তিনি ছুটিতে রয়েছেন।

তরুণীর পরিবারের দাবি, সোসো থানা থেকে আনন্দপুরের দূরত্ব মোটে ৪০ কিলোমিটার। তবে বৃহস্পতিবার সকালে তরুণীকে নিয়ে বেরোলেও ১২ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন