জাতভাই ছিল ওসামার নিধনে, অসমে ওরা ছয়

মিস্কি, শীলা, লিওন ও জুবি। বন দফতরের নখ-দাঁত ধারালো করতে আরও চারটি বেলজিয়ান কুকুর এসেছে অসমের এক পশুপ্রেমী সংগঠনের ডগ স্কোয়াডে। জুবি গিয়েছে কাজিরাঙায়। বাকিদের একটি বা দু’টি পাঠানো হতে পারে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

মিস্কি, শীলা, লিওন ও জুবি। বন দফতরের নখ-দাঁত ধারালো করতে আরও চারটি বেলজিয়ান কুকুর এসেছে অসমের এক পশুপ্রেমী সংগঠনের ডগ স্কোয়াডে। জুবি গিয়েছে কাজিরাঙায়। বাকিদের একটি বা দু’টি পাঠানো হতে পারে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলেও।

Advertisement

অসমের জঙ্গলে শিকারি কুকুরের ব্যবহার শুরু হয়েছিল জোরবা-কে দিয়ে, ২০১১ সালে। ওসামা বিন লাদেন বধের অভিযানে শামিল ছিল বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া। এই জাতের শিকারি কুকুর মার্কিন নেভি সিলের বিশেষ পছন্দের। জোরবা সেই প্রজাতির কুকর। গন্ধ শুঁকে চোরাশিকারিদের ঘাঁটি বহু বার চিনিয়ে দিয়েছে সে। এর পরে রাজ্যে আসে একই প্রজাতির বাবলি। গন্ধ শুঁকে উৎস চেনা ছাড়াও অভিযুক্তকে কাবু করতেও এদের জুড়ি নেই। পশুপ্রেমী সংগঠনটির নতুন চারটি কুকুরকে ছ’মাস প্রশিক্ষণ দিয়েছেন জার্মানির প্রশিক্ষক। জুবিকে এর পর কাজিরাঙায় পাঠানো হয়েছে।

গরুমারায় চোরাশিকারের ঘটনায় নড়ে বসেছে পশ্চিমবঙ্গ। ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসমের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণও নেবেন উত্তরবঙ্গের বনকর্মীরা। উত্তরবঙ্গে পাঠানো হতে পারে প্রশিক্ষণ পাওয়া বেলজিয়ান কুকুরও। পশুপ্রেমী ওই সংগঠন আরণ্যকের কর্তা বিভাব তালুকদার বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বন দফতর কুকুর রাখার ব্যবস্থা ও অন্যান্য পরিকাঠামোর ব্যাপারে আমাদের বিশদে জানালে কুকুর পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন