Manipur Violence

মণিপুরে নতুন বছরের শুরুতেই হিংসা, নিহত চার, অশান্তি ঠেকাতে পাঁচ জেলায় জারি হল কার্ফু

স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত তিন ব্যক্তিকে একটি গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লিলং চিংঝাও এলাকায় গাড়ি আটকায় বিপক্ষ শিবিবের দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৯
Share:

মণিপুরে হিংসার আগুন। ছবি পিটিআই।

নতুন বছরের শুরুতেই হিংসা আর রক্তপাত দেখল মণিপুর। সোমবার বিকেলে উপত্যকার থৌবল জেলায় গোষ্ঠীসংঘর্ষে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে রাজধানী ইম্ফল-সহ উপত্যকার পাঁচ জেলায় কার্ফু জারি করেছে মণিপুর সরকার। থৌবল ছাড়াও তালিকায় রয়েছে, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর এবং ককচিং।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত তিন ব্যক্তিকে একটি গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লিলং চিংঝাও এলাকায় গাড়ি আটকায় বিপক্ষ শিবিবের দুষ্কৃতীরা। তাঁদের এবং গাড়ির চালককে গুলি করে খুন করার পাশাপাশি গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর উপত্যকার পাশাপাশি লাগোয়া পাহাড়ি অঞ্চলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত হন আরও কয়েক জন। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা এন বীরেন সিংহ যুযুধান দু’পক্ষের কাছে সংযত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি।

২০২২ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘাতের সূচনা হয়েছিল।

Advertisement

অশান্তি ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে হিংসা থামেনি। এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় দু’শো। ঘরছাড়া ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন