Treasure

মুদ্রা ভরা ঘড়া মিলেছে মোদীর সেই চিতার জঙ্গলে, মালিকানা নিয়ে বিতর্ক, চুরিও গিয়েছে কিছু

অনেকগুলি মোহর নিয়ে পালিয়ে যান কয়েক জন শ্রমিক। কয়েক জন আবার সামাজিক মাধ্যমে ওই মোহর নিয়ে ছবি দেন। তখনই গোটা বিষয়টি প্রশাসন এবং রাজ পরিবারের গোচরে আসে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ২০:১৪
Share:

খননকারী শ্রমিকদের ধরে অন্তত ৪০টি রুপো ও তামার মোহর উদ্ধার করল পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

রুপো আর তামার মুদ্রা ভরা ঘড়া উদ্ধারের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে। তার মধ্যেই খননকারী শ্রমিকদের ধরে অন্তত ৪০টি রুপো ও তামার মুদ্রা উদ্ধার করল পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে একটি নির্মাণ কাজের সময় এই ঘড়া উদ্ধার হয়। এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্থানীয় রাজ পরিবার। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ঘড়া উদ্ধার নিয়ে অভিযোগও করেছে।

Advertisement

নামিবিয়া থেকে গত মাসেই তিনটি চিতা আনা হয়েছিল ভারতে। সেই তিন চিতার বাস যে জঙ্গলে, তার অদূরেই বুধবার নির্মাণ কাজের সময় মিলেছিল মোহরের ঘড়া। উদ্ধারের পরই মুদ্রাগুলি নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন শ্রমিকরা। অনেকগুলি মুদ্রা নিয়ে পালিয়ে যান কয়েক জন শ্রমিক। কয়েক জন আবার সামাজিক মাধ্যমে ওই মুদ্রা নিয়ে ছবি দেন। তখনই গোটা বিষয়টি প্রশাসন এবং রাজ পরিবারের গোচরে আসে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুদ্রাগুলি দু’শো-তিনশো বছরের পুরনো। অনেকগুলি ব্রিটিশ আমলের। পালপুর রাজ পরিবারের সদস্য মহাদেও রাজ সিংহের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই ওই এলাকায় খনন কাজ চালিয়েছে বন দফতর। তার পর মাটি নিখুঁত ভাবে লেপে দিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত ৪০টি মুদ্রা মিলেছে। মহাদেওর দাবি, ফেরার শ্রমিকদের ধরলে আরও মিলবে।

Advertisement

জেলাশাসক শিবম বর্মা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মুদ্রা ১৮৭৮ সালের ভারতীয় গুপ্তধন আইন মেনে সরকারি কোষাগারেই জমা পড়ার কথা। ওই আইনে বলা রয়েছে, এক ফুট গভীর থেকে মেলা কোনও সম্পদের মালিক হবেন জেলাশাসক।

কুনো নদীর তীরে পালপুর গড়হি দুর্গ এবং সংলগ্ন এলাকাকে ১৯৮১ সালে অভয়ারণ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তার পরেই ওই এলাকা ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হয় পালপুর রাজপরিবার ও ২৪টি গ্রামের বাসিন্দা। রাজ পরিবার ক্ষতিপূরণ চাইলে পূর্ত বিভাগ জানায়, ওই সম্পত্তি ১০০ বছরের পুরনো। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। এ বার ওই এলাকা থেকে উদ্ধার মুদ্রার ঘড়া। বন দফতরের কর্মীদের আশঙ্কা, এর ফলে নামাবিয়া থেকে আসা চিতারা সমস্যা পড়তে পারে। কারণ, এখনও নতুন পরিবেশে মানিয়ে উঠতে পারেনি ওরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন