করিমগঞ্জ পুরসভায় দলের ৫ সদস্যকে সাসপেন্ড করল বিজেপি। বিজেপির ১৫ জন পুরসদস্য কংগ্রেস পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু ভোটাভুটির দিন তা কমে দাঁড়ায় ১২টিতে। এতে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। তার জেরেই এই পথে এগোল দল। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আজ সন্ধেয় জানান, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমতো সরোজ মুহরী, সুখেন্দু দাস, মল্লিকা দাস, রত্নদীপ গুপ্ত এবং মঙ্গলা নন্দীকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অনাস্থা ভোটের পর প্রদেশ বিজেপির নির্দেশে মিশনরঞ্জন দাস, কৃষ্ণ দাস, সুদীপ চক্রবর্তীকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি বিজেপির পুরসদস্যদের মতামত শুনে রিপোর্ট তৈরি করে। গত কাল সেটি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে জমা পড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, তদন্ত কমিটির দু-একজন সদস্যের মত ছিল, অনাস্থা ভোটের পক্ষে ভোট না দেওয়া সদস্যদের দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। কিন্তু আপাতত তা চাইছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কংগ্রেস পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা আনা হলে তা পাশ করানো যাবে কি না। কমিটির সদস্যরা অবশ্য আশাবাদী, ফের অনাস্থা আনা হলে বিজেপি জিতবেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির ওই সদস্যের কথায়, ‘‘দু-একজনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে, দলবিরোধী কাজ চলতে থাকবে। ওই পুরসদস্যদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি শো-কজও করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা অভিযোগের সন্তোষজনক উত্তর দিলে শাস্তি প্রত্যাহার করা হতে পারে।’’
বিজেপির ৫ পুরসদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, বিজেপিকে ভোট দিয়ে এক সদস্য শাস্তির মুখে পড়েছেন বলে দাবি দলের নেতাদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ— অন্য এক দলীয় পুরসদস্য জনৈক বিধায়কের ‘নির্দেশে’ কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিলেও, তাঁর বদলে ‘নির্দোষ’ ওই সদস্যের শাস্তি হয়েছে।