কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়া করিমগঞ্জের পাঁচ পুরসদস্য আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসদস্য রূপক পোদ্দার এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘‘প্রদেশ বিজেপি সভাপতি শান্তনু ভরালি, মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারির উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির উপ-সভাপতি মিশন রঞ্জন দাসের নেতৃত্বে কংগ্রেসের পুরসদস্যরা বিজেপিতে যোগ দেন।’’ বিজেপি সূত্রে প্রকাশ, কিছুদিনের মধ্যেই করিমগঞ্জের পুরবোর্ড ভেঙ্গে দেওয়ার প্রস্তাব রাখবেন তাঁরা। কারণ করিমগঞ্জ পুরসভার ২৭ জন সদস্যের মধ্যে এখন ১৫ জন সদস্যই বিজেপির। ফলে করিমগঞ্জ পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, পুরপ্রধান হিসেবে বিজেপি অঞ্জনা রায় এবং উপ-পুরপ্রধান হিসেবে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা যিশুকৃষ্ণ রায়কে প্রোজেক্ট করতে চাইছে। অন্য দিকে, পাঁচ সদস্য ইস্তফা দেওয়ায় করিমগঞ্জ পুরসভার সদস্যপদে তড়িঘড়ি করে শপথ নিয়েছেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। অসমের পুরআইন অনুসারে স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ অধিকার বলে পুরসভার সদস্য। এমনকী পুরসভায় অনাস্থা এলে তাঁরা ভোটাধিকারও প্রয়োগ করতে পারবেন। কংগ্রেস বিধায়ক পুরসভার ভবিষ্যৎ রাজনীতির কথা ভেবেই চটজলদি শপথ নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এআইইউডিএফ সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাসও পুরসভার সদস্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত তিনি পুরসভায় ভোটদান থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা। কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা কমে গেলেও পুরসভায় রাজনৈতিক লড়াই করতে চাইছেন কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষবাবু। তাই তিনি ৫ সদস্য কংগ্রেস ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই পুরসভার সদস্য হিসেবে পুরনেত্রীর কাছ থেকে শপথ নিয়েছেন।