ফাইল চিত্র।
চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। রোববার জম্মু-কাশ্মীরে নতুন করে গুলির লড়াইয়ে মারা পড়ল পাঁচ জঙ্গি। গতকাল শ্রীনগরের কাছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে আটকে পড়া তিন জঙ্গি মারা পড়েছিল প্রায় ঘণ্টা আটেকের গুলির লড়াইয়ের পর। আজও যেন তারই অ্যাকশন রিপ্লে।
রবিবার সোপিয়ানে দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ে যে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মহম্মদ রফি ভাট। গত শুক্রবার থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। জানা গিযেছে, বেশ কয়েক বছর আগেই তিনি জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিলেন। জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে আজ সকালে সোপিয়ানের বদগামে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল মহম্মদ রফি ভাটের বাবা-মাকেও। রফি সহ অন্যান্য জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের জন্য তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। নিহত পাঁচ জনের মধ্যে রয়েছে আদিল মালিক ও বিলাল মৌলবি এবং হিজবুল কম্যান্ডার সাদ্দাম পাদ্দেরের মতো সন্ত্রাসবাদী।
কে এই সাদ্দাম? বহু চেষ্টার পর ২০১৬ সালের ৮ জুন বুরহান ওয়ানি নামে যে হিজবুল জঙ্গিকে মারতে সক্ষম হয়েছিল সেনা বাহিনী, সাদ্দাম ছিল সেই বুরহানেরই ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সন্ধান চলছিল। সাদ্দামের মৃত্যুতে বুরহান ওয়ানি ব্রিগেড বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অকারণে গুলি পুলিশের, দাবি কিশোরের দাদার
আরও পড়ুন: তিন তালাক, বিবেচনায় অধ্যাদেশও
জঙ্গিদের গুলিতে দুই নিরাপত্তাকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিস কর্মী। অন্য জন সেনা জওয়ান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁদের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে বদগামে গুলির লড়াইয়ের মাঝেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাথর হামলা হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।