দুর্ঘটনার পর বেঙ্গালুরু-নান্দেড় এক্সপ্রেস। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
মাঝ রাতে দ্রুতগতিতে লেভেল ক্রসিং দিয়ে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-নান্দেড় এক্সপ্রেস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। লেভেল ক্রসিংয়ের গেট ভেঙে সজোরে ওই ট্রেনে গিয়ে ধাক্কা মারল গ্রানাইট বোঝাই একটি লরি।
রবিবার মাঝ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার পেনুকোণ্ডায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্কটেশ নায়েক-সহ পাঁচ ট্রেনযাত্রীর। মৃত্যু হয়েছে লরি চালকেরও। মনে করা হচ্ছে, লরির চালক অপ্রকৃতস্থ ছিলেন। অথবা লরির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। ঠিক কী ঘটেছিল, দক্ষিণ শাখার রেল সুরক্ষা কমিশনারকে অবিলম্বে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে রেল মন্ত্রক। তদন্তের দাবি করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আড়াইটে নাগাদ লরিটি প্রথমে বন্ধ লেভেল ক্রসিংয়ের গেটে ধাক্কা মারে। এর পরেই গেট ভেঙে এগিয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে সেই সময় ক্রসিং দিয়ে পেরোনো ট্রেনটির এইচ১ এসি কোচে। সংঘর্ষের জেরে লরিতে বোঝাই গ্রানাইটের চাঁই ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই কামরার উপর। ধাক্কায় লাইনচ্যূত হয়ে যায় ট্রেনের আরও তিনটি কামরা। পুলিশ জানিয়েছে, সেই কোচেরই যাত্রী ছিলেন কর্নাটকের দেবদূর্গ কেন্দ্রের বিধায়ক বেঙ্কটেশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের জিএম-সহ অন্য অফিসারেরা। পৌঁছয় উদ্ধারকারী দলও। আহতের সংখ্যা পঁচিশেরও বেশি। তাঁদের পেনুকোণ্ডার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশেষ চিকিৎসক দল। ট্রেন থেকে বাকিদের বার করে আনার পর গন্তব্যে পৌঁছে দেয় কুড়িটি বিশেষ বাস। আহতদের আত্মীয়দের জন্য চালু করা হয় একাধিক হেল্পলাইন নম্বর। উদ্ধারে তদারকি করেন পুলিশ ও প্রশাসন কর্তারা। দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘ ক্ষণ রেল লাইনের একটি অংশ বন্ধ রাখা হয়। তাতে বেঙ্গালুরু-গুন্টাকুল লাইনের একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে। পরে তার কয়েকটিকে অন্য লাইন দিয়ে ঘোরানো হয়। বিকেল ৪টে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।