রামকৃষ্ণ মিশনে ৬০ লক্ষ ‘দান’ অজ্ঞাতপরিচয়ের

এ বার রামকৃষ্ণ মিশনের দান-পেটির পাশ থেকে উদ্ধার হল ৬০ লক্ষ টাকা। আজ হঠাৎ করেই মিশনের কর্মীরা দান-পেটির পাশে তিনটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখেন। দেখা যায় তিনটি ব্যাগের ভিতরেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:০৪
Share:

এ বার রামকৃষ্ণ মিশনের দান-পেটির পাশ থেকে উদ্ধার হল ৬০ লক্ষ টাকা।

Advertisement

আজ হঠাৎ করেই মিশনের কর্মীরা দান-পেটির পাশে তিনটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখেন। দেখা যায় তিনটি ব্যাগের ভিতরেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা মিশনের ভারপ্রাপ্ত মহারাজকে খবর দেন। শিলং মিশনের সচিব স্বামী অচ্যুতেশানন্দ পুলিশে খবর দেন। খবর যায় আয়কর দফতরেও। দেখা যায় সব মিলিয়ে মোট ৬০,০২,৫০০ টাকা ওই তিনটি ব্যাগে রয়েছে। কে বা কারা ওই ব্যাগ মিশনে রেখে গেল সে সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। সচিব বলেন দান-পাত্র যেখানে থাকে সেখানে কোনও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকায় এই বিষয়ে বিশদ কিছু জানা যায়নি। স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই টাকা কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন ফের ডিমাপুর বিমানবন্দরে পাঁচ লক্ষ মূল্যের পুরনো নোট-সহ ধরা পড়লেন এক ব্যবসায়ী। অজয় সিংহ নামে ওই ব্যবসায়ী কলকাতা থেকে আজই ডিমাপুরে এসে নামেন। এয়ারইন্ডিয়ার বিমানে আসা ওই যাত্রী সম্পর্কে সিআইএসএফের কাছে আগেই তথ্য ছিল বলে জানিয়েছেন ডিমাপুর বিমানবন্দরের অধিকর্তা এম ঝিমো। তিনি বলেন, টাকা বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত চালাচ্ছে

Advertisement

আয়কর দফতর। এ দিন মণিপুরের তামেংলং জেলার নোনেতেও একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনী ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট উদ্ধার করে। ধরা হয় তিন আরোহীকে। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা জঙ্গি সংগঠনের বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে কাদের টাকা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই এলাকায় এনএসসিএন-আইএমের আধিপত্য রয়েছে।

এ দিকে, নাগাল্যান্ডের সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিওর জামাই আনাতো জিমোমি হরিয়ানা থেকে যে সাড়ে তিন কোটি টাকা আনিয়েছিলেন, তা আপাতত ডিমাপুরের স্টেট ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে বলে খবর মিলেছে। আয়কর আইন অনুযায়ী করছাড় পান নাগারা। তার উপরে আনাতো বিরাট ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে সাড়ে তিন কোটি থাকা অস্বাভাবিক নয় বলেই মেনে নিয়েছে ডিমাপুর পুলিশ। ওই টাকা যে কালো টাকা এবং সাদা করার জন্য আনা হচ্ছিল—তাও এখনও প্রমাণ করা যায়নি। কিন্তু হাল ছাড়েনি আয়কর দফতর। জিমোমির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করার পাশাপাশি, দিল্লিতে তাঁকে জেরা করা চলছে।

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্বের ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সব অ্যাকাউন্টে বেশি টাকা জমা পড়েছে তাদের বিবরণ ও যে সব ফাঁকা পড়ে থাকা জনধন অ্যাকাউন্টে হঠাৎ মোটা টাকা জমা পড়ছে সেগুলির তথ্যও আয়কর দফতরে জমা দিতে হবে। উত্তর-পূর্বে জঙ্গিদের হাতে থাকা মোটা টাকা সাদা করার চেষ্টা হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই সতর্ক করা হয়েছে পুলিশ, সেনা, আধা-সেনা ও আয়কর দফতরকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন