Parbat Makwana

১০১ বছর বয়সী মাকে মাধ্যমিক পাশ করে দেখিয়ে দিতে চান ৭০ বছরের ছেলে!

৫৫ বছর আগে স্কুলছুট হয়েছেন। তার পর সেই রাস্তায় আর পা মাড়াননি। অভাব, অনটন এবং সংসারের দায় দায়িত্বে পড়াশোনার জগত্ থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে চলে গিয়েছিলেন। তবে, জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। একটি রাজনৈতিক দলের উপরের সারির নেতা হিসাবে সমাজে যথেষ্ট নামও হয়েছে তাঁর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭ ১৩:৩০
Share:

৭০ বছর বয়সে ফের স্কুল শুরু মাকওয়ানের

৫৫ বছর আগে স্কুলছুট হয়েছেন। তার পর সেই রাস্তায় আর পা মাড়াননি। অভাব, অনটন এবং সংসারের দায় দায়িত্বে পড়াশোনার জগত্ থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে চলে গিয়েছিলেন। তবে, জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। একটি রাজনৈতিক দলের উপরের সারির নেতা হিসাবে সমাজে যথেষ্ট নামও হয়েছে তাঁর।

Advertisement

কিন্তু, এ সবের মধ্যেও এখনও তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায় সেই স্কুলছুটের স্মৃতি। এখনও যে মাধ্যমিক পাশ করতে পারলেন না! তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের কাছে এখনও প্রমাণ করে দেখাতে পারলেন না, যে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছেন! তাই ৭০ বছর বয়সে ফের স্কুলে ভর্তি হয়েছেন গুজরাতের জুনাগড়ের বাসিন্দা পর্বত মাকওয়ানা।

জ্ঞানভারতী স্কুলে নাতির বয়সী ছাত্রদের সঙ্গে জমিয়ে পড়াশোনা করেন মাকওয়ানা। রাজনীতির পাশাপাশি তাঁর নিজের একটি হস্টেল চালান সাত সন্তানের বাবা মাকওয়ান। তিনি জানান, রাজনীতিতে থাকার সুবাদে সব সময়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তার মধ্যেও প্রতি দিন দু’ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেন। এ জন্য কোনও টিউশনের নেওয়ার দরকার হয় না বলে জানান মাকওয়ান।

Advertisement

আরও পড়ুন- দিনেরবেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে বাইক-স্কুটার চালাতে হবে এপ্রিল থেকে!

মাকওয়ান তাঁর বৃদ্ধা মাকে দেখিয়ে দিতে চান যে, অবশেষে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার মা নিরক্ষর হলেও সব বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে তাঁর। এমনকী কোনও শিক্ষিত মানুষকেও বিভিন্ন বিষয়ে হার মানিয়ে দিতে পারেন তিনি।” কী বিষয় পড়তে ভালবাসেন জেলা কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট? তাঁর পছন্দের বিষয় সংস্কৃত।

গুজরাতের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের বোর্ডের কর্তা বিএস পঞ্চল বলেন, ‘‘শিক্ষার যে কোনও বয়স নেই, তার আদর্শ উদাহরণ মাকওয়ান। যাঁরা কম বয়সে স্কুল ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।’’ তবে শিক্ষা প্রসঙ্গে মাকওয়ান মনে করেন, প্রতি দিন ছাত্ররা কী শিখছে, তা হয়তো মনে থাকে না কারও। তাঁ কথায়, ‘‘আমি বিশ্বাস করি প্রতি উন্নত শিক্ষাই এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement