৩৫ বছর বয়সি স্ত্রীর সঙ্গে ৭৫-এর বৃদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত।
৩৫ বছর বয়সি তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ। দীর্ঘ দিনের নিঃসঙ্গ জীবনে সঙ্গ পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী হল না কিছুই। বিয়ের পরের দিন সকালেই তাঁর মৃত্যু হল! তরুণী স্ত্রীর সঙ্গে এক রাতের বেশি কাটাতে পারলেন না।
উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার কুছমুছ গ্রামের ঘটনা। বৃদ্ধের নাম সঙ্গরুরাম। বছর খানেক আগে তাঁর পত্নীবিয়োগ ঘটে। দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। ফলে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একেবারেই একা হয়ে গিয়েছিলেন। চাষবাস করে দিন কাটাতেন। কিন্তু একা থাকতে ভাল লাগত না। তাই আরও এক বার বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন বৃদ্ধ।
আত্মীয়স্বজনেরা এই বয়সে নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে নিষেধই করেছিলেন বৃদ্ধকে। কিন্তু তিনি নিজের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত অনড় ছিলেন। জালালপুর এলাকার কন্যা ৩৫ বছর বয়সি মনভবতী বিয়েতে রাজি হন। প্রথমে তাঁরা আদালত থেকে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন। পরে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে মালাবদল করেন ২৯ সেপ্টেম্বর।
কনে জানিয়েছেন, বিয়ের দিন রাতে বেশিরভাগ সময়ই তাঁরা কথা বলে কাটিয়েছেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন। কী ভাবে ঘর-সংসারের দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে, স্ত্রীকে তা ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু পরের দিন সকালে আচমকা তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বৃদ্ধকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বৃদ্ধের আত্মীয়স্বজন তো বটেই, এমন আচমকা মৃত্যু গ্রামবাসীদেরও সন্দিহান করে তুলেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। নেপথ্যে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র। বৃদ্ধের যে সমস্ত আত্মীয় দিল্লিতে থাকেন, তাঁরা মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশি তদন্ত হবে কি না, বৃদ্ধের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।