ফাইল চিত্র।
সংঘর্ষবিরতি চেয়েছিল রবিবার। তার পরে দু’দিন ধরে হামলা অব্যাহত রাখল পাক বাহিনী। জম্মুতে তাদের হামলায় নিহত হয়েছে আট মাসের এক শিশু। ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা-সহ আহতের সংখ্যা পাঁচ। পাল্টা হামলায় তিন পাক জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মতে, পাকিস্তান কিছুতেই নিজেদের পথ পরিবর্তন করতে রাজি নয়।
রবিবার বিএসএফকে ফোন করে সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানায় পাক রেঞ্জার্স। কিন্তু গত কাল থেকেই ফের জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে হামলা শুরু করে তারা। বিএসএফ জানিয়েছে, সোমবার রাতে আর্নিয়া সেক্টরের পাল্লানওয়ালা এলাকায় বাড়ির বাইরে বাবা-মার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল আট মাসের নিতিন কুমার। পাক হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ আর্নিয়া ও আর এস পুরা সেক্টরে রেঞ্জার্স বাহিনীর হামলায় আহত হন মোট সাত জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বছর সত্তরের কৌশল্যা দেবী। মর্টারের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে মেষপালকদের প্রায় ২৪টি মাটির বাড়ি। আতঙ্কে গ্রাম ছে়ড়ে আত্মীয়স্বজনের বা়ড়ি ও সরকারি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
হামলার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে বিএসএফও। এক বিএসএফ কর্তা জানান, রেঞ্জার্সের একাধিক বাঙ্কার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সীমান্ত জুড়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। হামলার মুখে পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধার করতে বেশ কয়েকটি দল গঠন করেছে পুলিশ। ১৫ মে জম্মু সীমান্তে দু’টি জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেয় বিএসএফ। তার পর থেকেই চলতি দফার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশের ওই মনোভাব নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন রাজনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিবেশী ওই দেশটি গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। ভারত শান্তি চাইলেও ওরা যে কেন শান্তি চায় না তা বোঝা কঠিন। বুলেটের জবাব বুলেট দিয়েই দিতে হবে।’’ রাজনাথের দাবি, কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে ‘স্মার্ট ফেন্স’ লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। তা হলে দুই সীমান্তে অনুপ্রবেশ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি তাঁর।