‘অধিনায়ক’ বিতর্কে জাতীয় সঙ্গীত

আবার সেই পুরনো বিতর্ক! আবার সে পুরনো প্রস্তাব! পাল্টে যাবে জাতীয় সঙ্গীত? বাদ পড়বে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি? বিতর্কটি ফিরিয়ে আনলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ। কিন্তু ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। দু’জনেই পূর্ব পরিচয়ে গৈরিক শিবিরের সদস্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৫ ১৫:৩৩
Share:

আবার সেই পুরনো বিতর্ক! আবার সে পুরনো প্রস্তাব! পাল্টে যাবে জাতীয় সঙ্গীত? বাদ পড়বে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি?

Advertisement

বিতর্কটি ফিরিয়ে আনলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ। কিন্তু ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। দু’জনেই পূর্ব পরিচয়ে গৈরিক শিবিরের সদস্য।

মঙ্গলবার রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কল্যাণ সিংহ জানিয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে লেখা জাতীয় সঙ্গীতে ‘অধিনায়ক’ শব্দটির ইংরেজদের সন্তুষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ তখন ‘অধিনায়ক’ বা শাসক তাঁরাই। শুধু আপত্তি তোলাই নয়, কল্যাণ সিংহ ‘অধিনায়ক’-এর জায়গায় ‘জনগণমন মঙ্গল গায়ে’ ব্যবহার করার প্রস্তাবও দেন।

Advertisement

বুধবার সকালেই ট্যুইটে ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন তথাগত রায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার পরে ৬৭ বছর পেরিয়ে এসেছে। তা হলে ‘অধিনায়ক’ বলতে কেন ইংরেজ শাসক বোঝাবে? জাতীয় সঙ্গীতে কোনও পরিবর্তন ঠিক নয় বলে মনে করেন তথাগত রায়।

কিন্তু ‘অধিনায়ক’ নিয়ে এই বিতর্ক নতুন নয়। ১৯১১-এ গানটি লেখার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। এই সময়ে ভারত সফরে এসেছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। তবে ১৯৩৭-এ পুলিনবিহারী সেনকে লেখা এক চিঠিতে অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন