Gaziabad Death

বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যে মৃত্যু যুবকের, শোক সইতে না পেরে সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা স্ত্রীর

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যুর পরের দিনই বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। গাজিয়াবাদের যুগলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০০
Share:

অভিষেক অহলুওয়ালি (বাঁ দিকে) এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি (ডান দিকে)। ছবি সংগৃহীত।

আড়াই মাস আগে নতুন সংসার পেতেছিলেন দু’জনে। পরিবারে নব দম্পতিকে নিয়ে খুশির হাওয়া ছিল। আচমকাই সেই পরিবারে নেমে এল শোকের ছায়া। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যুর পরের দিনই বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। গাজিয়াবাদের যুগলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন অভিষেক অহলুওয়ালিয়া (২৫)। সেই মতো সকাল সকালই স্ত্রী অঞ্জলিকে নিয়ে ঘুরতে যান। চিড়িয়াখানায় ঘুরতে ঘুরতেই আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন অভিষেক। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে ঘাবড়ে যান অঞ্জলি। ফোন করেন অভিষেকের বন্ধুদের।

তার পরই অভিষেককে নিয়ে প্রথমে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে যান অঞ্জলি। প্রাথমিক পরীক্ষা করার পরই তাঁকে ‘রেফার’ করা হয় সফদরজ‌ং হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম়ৃত্যু হয় অভিষেকের। স্বামীর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি অঞ্জলি। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ অভিষেকের দেহ এসে পৌঁছয় গাজিয়াবাদে তাঁদের আবাসনে। অভিষেকের দেহের সামনে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন অঞ্জলি।

Advertisement

পরিবারের কথায়, হঠাৎই অঞ্জলি আবাসনের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তার পর সোজা সাত তলায় উঠে যান। সেখান থেকেই নীচে ঝাঁপ দেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অঞ্জলির। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া দুই পরিবারে।

গত বছর ৩০ নভেম্বর অভিষেক এবং অঞ্জলির বিয়ে হয়। গাজিয়াবাদের আবাসনে থাকতেন তাঁরা। ছুটিতে প্রায়ই এ দিক ও দিক ঘুরতে যেতেন নব দম্পতি। হাসিখুশি দু’জনের জীবন এ ভাবে শেষ হয়ে যাবে তা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। মৃত যুবকের এক আত্মীয় ববিতা বলেন, ‘‘অভিষেকের দেহ বাড়িতে আনার পরেই তাঁর পাশে বসে কাঁদছিল অঞ্জলি। তার পর হঠাৎ আবাসনের ভেতরে ঢুকে উপরে নিজের ফ্ল্যাটে চলে যায়। আমি বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা করতে চাইছে। আমিও ওর সঙ্গে সঙ্গে যাই, কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারিনি। তাঁকে আটকানোর আগেই বারান্দা থেকে লাফ মারেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন