প্রতীকী ছবি।
জাতি, ধর্ম, কিংবা ভাষার বিভেদের জন্য গণপিটুনি কিংবা বৈষম্যের ঘটনা রুখতে এ বার কড়া আইন আনার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।
বিরোধীদের অভিযোগ, গোটা দেশ জুড়েই বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা। বিশেষ করে গো-রক্ষকদের হাতে দেশের নানা প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন দলিত-সংখ্যালঘুরা। শাসক দল সরকারি ভাবে দেশে গণহত্যা বা অসহিষ্ণুতার ঘটনা বাড়ার কথা স্বীকার করেনি ঠিকই। কিন্তু আজ রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, ‘‘ধর্ম, ভাষা, জাতি, বাসস্থানের কারণে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কোনও বৈষম্য বা অপরাধ করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার
জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকার।’’ রিজিজু জানান, সেই কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩সি ও ৫০৯এ ধারায় পরিবর্তনও আনার কথা ভাবা হয়েছে।
স্বরাষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই আইনে পরিবর্তন আনার জন্য সুপারিশ করেছে বেজবড়ুয়া কমিটি। ২০১৪ সালে দিল্লিতে অরুণাচলের বাসিন্দা নিদো টানিয়ার গণপিটুনিতে মৃত্যুর পরে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সম্প্রতি উত্তর-পূর্বের প্রথাগত পোশাক পরে আসার অপরাধে এক মহিলাকে দিল্লির একটি অভিজাত ক্লাবে প্রবেশে করতে বাধা দেওয়া হয়। আজ রাজ্যসভায় রিজিজু ওই ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, ‘‘দণ্ডবিধিতে ওই সংশোধনী হলে পুলিশ এই ধরনের জাতি, ধর্ম বা পোশাকের ফলে হওয়া বৈষম্যের অভিযোগ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গণহত্যার মতো ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে আইন এখন দুর্বল। আইন পরিবর্তনের সময়ে এ ক্ষেত্রেও যাতে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির সুপারিশ করা যায় সেই বিষয়টিও মাথায় রাখছে কেন্দ্র।