প্রতীকি ছবি। ছবি: শাটারস্টক
তন্ত্র সাধনায় সাফল্য চাই। তাই নরবলি দেওয়ার জন্য সরকারি অনুমতি চাইলেন বিহারের এক তান্ত্রিক! চাইলেন, নিজের ছেলেকেই বলি দিতে! তাঁর আদত নাম সুরেন্দ্র প্রসাদ সিংহ হলেও, বেগুসরাই আর তার আশপাশের এলাকায় তিনি পরিচিত ‘পাগলা বাবা’ নামে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সূত্র অনুযায়ী, বেগুসরাইয়ের এসডিও সঞ্জীব কুমার চৌধুরীর কাছে দিনকয়েক আগে একটি আবেদনপত্র পাঠিয়েছেছেন সুরেন্দ্র প্রসাদ ওরফে পাগলা বাবা। তিনি লিখেছেন, তাঁর আরাধ্যা দেবীকে সন্তুষ্ট করতে আর তন্ত্র সাধনায় সুফল পেতে নরবলি দেওয়ারল খুবই প্রয়োজন। তাঁকে এ ব্যাপারে তড়িঘড়ি অনুমতি দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন পাগলা বাবা। এও লিখেছেন, ‘‘নরবলি কোনও অপরাধ নয়। এই নরবলির জন্য অন্য কারও ক্ষতি করতে চাই না। নিজের ছেলেকেই বলি দিয়ে আমার সাধনা সম্পূর্ণ করতে চাই।’’ যে ছেলেকে বলি দেওয়ার কথা লিখেছেন সুরেন্দ্র, তিনি আবার পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।
কোন কাজে সাফল্য পেতে এই বলি দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বলছেন সুরেন্দ্র?
সুরেন্দ্র জানিয়েছেন, তাঁর আরাধ্যা দেবীর মন্দির বানানোর জন্য এখন নানা জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করছেন তিনি। সেই সব কাজ যাতে ভালয় ভালয় মিটে যায়, তার জন্যই ছেলেকে বলি দেওয়ার প্রয়োজন।
এর আগেও সুরেন্দ্রকে নগ্ন হয়ে আর মাথায় খুলি নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। তবে এই ঘটনা তাঁর আগের সব ‘পাগলামি’কেই পিছনে ফেলে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে শেষ বাজেটে কামধেনু নরেন্দ্র মোদী
সুরেন্দ্র অবশ্য তাঁর এই ইচ্ছার পক্ষে যুক্তি দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, ‘‘তন্ত্র সাধনায় নরবলি খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। কামাখ্যায় গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকেই সবার আগে বলি দিতে চাই। কারণ, আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হলেও মন্দিরের জন্য অর্থ সাহায্য করতে রাজি নয়। এই সব বিষয়ে বিশ্বাসও নেই ওর। তাই নিজের ছেলেকেই আগে মায়ের কাছে উৎসর্গ করতে চাই আমি।’’
আরও পড়ুন: চিতাবাঘ দাপিয়ে বেড়াল জলন্ধরের রাস্তায়, ঘরবন্দি মানুষজন
সব কিছু খতিয়ে দেখার পর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে এসডিও-র দফতর থেকে।