বেতন নেই ২২ মাস, আত্মঘাতী পুরকর্মী

২২ মাস ধরে বেতন নেই অসমের পুরকর্মীদের। আন্দোলন চললেও সরকার নীরব। অন্যদের মতো ঋণ বাড়ছিল রঞ্জনবাবুরও। চাপ সভতে না পেরে কাল রাতে আত্মহননেরই পথ বেছে নেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

দীর্ঘ দিন বেতন না পেয়ে ধারে-দেনায় জর্জরিত শিলচর পুরসভার এক কর্মী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন। মৃত্যুর আগে ছেলেকে ফোন করে বাবা রঞ্জন দে বলেন, ‘‘আমি এখন নদীর ঘাটে। আমাকে আর খুঁজিস না। মা’কে দেখিস।’’ ফোন পেয়েই ছেলে তড়িঘড়ি নদীর ঘাটে আসে। পিছনে পিছনে অন্যরা। কিন্তু চশমা, জুতো জোড়া মিললেও রঞ্জনবাবুর খোঁজ মেলেনি। আজ সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

২২ মাস ধরে বেতন নেই অসমের পুরকর্মীদের। আন্দোলন চললেও সরকার নীরব। অন্যদের মতো ঋণ বাড়ছিল রঞ্জনবাবুরও। চাপ সভতে না পেরে কাল রাতে আত্মহননেরই পথ বেছে নেন তিনি। কংগ্রেস এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার ও শিলচর পুরসভাকে দায়ী করেছে। পুরপ্রধান নীহার ঠাকুরের বক্তব্য, ‘‘রঞ্জন দে’র মৃত্যুর সঙ্গে বেতনের সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কোনও কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।’’ তিনি জানান, অন্যত্র ২২ মাস বকেয়া থাকলেও শিলচর পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ মাসের বেতন মিটিয়েছিল। আরও এক মাসের চেক-এ দু’দিন আগেই তিনি সই করেছেন। ধর্মঘট না চললে এতদিনে আরও এক মাসের বেতন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত। তবে শিলচর পুর কর্মচারী ফেডারেশন জানিয়েছে, ছেলেকে ফোন করার আগে রঞ্জনবাবু সহকর্মীদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। বেতন, ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কথা শুনিয়েছিলেন। তার পরই কলেজ–ছাত্র ছেলেকে ফোন করেন।

এতদিন অসমে পুরসভাগুলিই কর্মচারীদের বেতন মেটাচ্ছিল। ২০১৩ সালে তখনকার সরকার সরকারি তহবিল থেকে তাঁদের বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত ওই ভাবেই বেতন মেলে। নতুন সরকার এসে পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলে তাদের বেতন আটকে দেয়। ত্রুটি সংশোধন করে বেতন চালু হবে, ২২ মাস ধরে এই আশ্বাস মিললেও তা কার্যকর হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন