বাড়ি থেকে যেখানে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেখানে বিয়ে করতে নারাজ ছিল সতেরো বছরের কিশোরী। এই সমস্যা নিয়ে কথা বলতে তাঁর পুরুষ বন্ধুর কাছে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু ওই যুবকের কাছে গিয়ে কোনও সাহায্য মেলেনি। উল্টে অভিযোগ, তারা রেল লাইনের ধারে যখন কথা বলছিল তখন মালগাড়ির সামনে ওই কিশোরীকে ঠেলে ফেলে দেয় ওই যুবক। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে ওই কিশোরী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার সদর থানা এলাকায়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। মেয়েটি প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। লাতেহারের এসপি অজয় লিন্ডা জানান, ‘‘তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত যুবক বিজেন্দ্র ওঁরাও ফেরার।’’ ঘটনার আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, জবানবন্দিতে ওই কিশোরী জানিয়েছে, তার বাড়ি লাতেহার ব্লকেরই গ্রামীণ এলাকায়। বেশ কয়েক বছর বিজেন্দ্রর সঙ্গে তার সম্পর্ক। কিন্তু মেয়েটির পরিবার ওই যুবকের সঙ্গে বিয়েতে রাজি ছিল না। তাঁর অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই ওই যুবকের কাছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ মেয়েটি যায়।
বিজেন্দ্রর বাড়ি মেয়েটির গ্রামের পাশেই মননচওতা নামে এক গ্রামে। মেয়েটির অভিযোগ, বিজেন্দ্র মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে গ্রামের কাছে, রেললাইনের ধারে নিয়ে যায়। আরও অভিযোগ, কথা কাটাকাটির সময় বিজেন্দ্র হঠাৎই তাকে রেল লাইনের ধারে ঠেলে দেয়। তখন একটি মালগাড়ি লাইন ধরে যাচ্ছিল। কিশোরী লাইনে কাটা পড়ার হাত থেকে বেঁচে গেলেও সে তার পা রেল লাইন থেকে সরাতে পারেনি। ফলে পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে।