হারের হ্যাটট্রিক অরবিন্দ কেজরীবালের।
গোয়া, পঞ্জাবের পরে এ বার নিজের গড় দিল্লিতে রাজৌরি গার্ডেন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে গো-হারা হারল কেজরীবালের দল। আপের জেতা আসন ছিনিয়ে নিল বিজেপি। দ্বিতীয় হয়েছে কংগ্রেস। আর তৃতীয় স্থানে লড়াই শেষ করে জামানত হারালেন রাজনীতিতে আনকোরা আপ প্রার্থী হরজিৎ সিংহ।
দশ দিন পরেই দিল্লির পুরভোট। তার আগে দলের বিপর্যয়ে চরম উদ্বেগ আপ শিবিরে। দল বুঝতে পারছে আপ নিয়ে মানুষের মোহভঙ্গ শুরু হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে ভোটবাক্সে। আপের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাও বলছে, কেজরী সরকারের দু’বছরের কাজকর্মে ক্রমশ উৎসাহ হারাচ্ছেন দলের কর্মীরা। বহু সক্রিয় কর্মী বসে গিয়েছেন বা বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতিশ্রুতিতে আপ ক্ষমতায় এলেও অন্য দলের মতোই স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কেজরীবাল সরকারের বিরুদ্ধে। যার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে শুঙ্গলু কমিটির রিপোর্টে। বিজেপির দাবি, কেজরির জনপ্রিয়তার গ্রাফ এখন তলানিতে ঠেকেছে। রজৌরি গার্ডেন আসনটি জেতার পরে দিল্লির প্রদেশ বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির কটাক্ষ, ‘‘কেজরীবাল নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ইভিএম নয়, মানুষই তাঁকে প্রত্যাখান করা শুরু করেছে।’’ বিজেপির আশা এই প্রত্যাখানের প্রভাব পড়বে পুর ভোটে।
তবে ভাঙলেও মচকাতে রাজি নন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তাঁর দাবি, এই হার একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা। সিসৌদিয়ার যুক্তি, ‘‘এই আসনে আগের জয়ী প্রার্থী জার্নেল সিংহ ইস্তফা দিয়ে পঞ্জাবের ভোটে লড়তে গিয়েছিলেন। তাঁর এ ভাবে চলে যাওয়া মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। সম্ভবত সেই ক্ষোভেই এই হার।’’ এর প্রভাব পুরভোটে পড়বে না বলেই দাবি করছেন আপ নেতা। তিনি আশাবাদী, সরকার গত দু’বছরে যে ভাল কাজ করেছে সেই কাজের নিরিখে অনায়াসে পুরভোট জিতবেন আপ প্রার্থীরা। নেতা যুক্তি দিলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না কর্মীরা।