Abhishek Manu Singhvi

প্রকাশ্যে মন্তব্য নয়, কংগ্রেসে বার্তা বিক্ষুব্ধদের

কংগ্রেসের অনেক নেতা, বিশেষত রাহুল-শিবির এখনও চাইছে, রাহুল সভাপতির পদ গ্রহণে রাজি হয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০৫:১৪
Share:

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এ বার দলের বিক্ষুব্ধদের প্রকাশ্যে মুখ না-খোলার বার্তা পাঠালেন। নেতৃত্বের মতে, ওয়ার্কিং কমিটিতে দলের সমস্যা নিয়ে আলোচনার পরে শুধুমাত্র খবরে থাকার জন্য মন্তব্য করা উচিত নয়।

Advertisement

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সক্রিয়তা ও সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লেখার পরে তা নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হয়। সেখানে চাপানউতোরের পরে সিদ্ধান্ত হয়, ছ’মাসের মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। সনিয়া ও রাহুল গাঁধী, একই সঙ্গে দু’জনের নেতৃত্বে আস্থা জানিয়েও ওয়ার্কিং কমিটি এই প্রস্তাব গ্রহণ করে। কিন্তু তার পরেও গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো নেতারা নিয়মিত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন।

আজ এআইসিসি-র মঞ্চ থেকে দলের মুখপাত্র অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি এ বিষয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী যখন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের শেষেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, এ বার আমাদের সামনে তাকাতে হবে, এগোতে হবে। যে সব কথাবার্তা হয়েছে, তা পরিবারের ভিতরে হয়েছে। খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। এ বার তা ছেড়ে এগিয়ে চলতে হবে। তার পরেও আমি মনে করি না, আমার বা অন্য কারও টিপ্পনী করার প্রয়োজন রয়েছে।’’

Advertisement

বিক্ষুব্ধদের অন্যতম, কংগ্রেসের রাজ্যসভায় দলনেতা গুলাম নবি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরেও বলেছেন, দলের স্বার্থেই কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন প্রয়োজন। কংগ্রেসের অনেক নেতা, বিশেষত রাহুল-শিবির এখনও চাইছে, রাহুল সভাপতির পদ গ্রহণে রাজি হয়ে যান। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ফের সভাপতির পদে বসতে পারেন। তার পরেও বারবার গুলাম নবির নির্বাচনের কথা বলাটা রাহুলকেই প্রচ্ছন্ন ভাবে চ্যালেঞ্জ জানানো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা সিব্বল ওয়ার্কিং কমিটিতে বিক্ষুব্ধ নেতাদের যে ভাবে নিশানা করা হয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন।

দলের বাইরে এই মুখ খোলা নিয়ে মনুসিঙ্ঘভি আজ বলেন, ‘‘আমি কোনও ব্যক্তিবিশেষ সম্পর্কে বলতে চাই না। আমাদের দেশ স্বাধীন, দেশে গণতন্ত্র রয়েছে। আপনি হেডলাইনে থাকার জন্য এক-এক বার কিছু না কিছু বলতে চাইলে বলতে পারেন। কিন্তু সভানেত্রী যেখানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তখন আমাদের সকলেরই এতে ইতি টানা উচিত ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোনোর জন্য পদক্ষেপ করা উচিত।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন