আবু জুন্দল
ঔরঙ্গাবাদ অস্ত্র মামলায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন চাঁই আবু জুন্দল-সহ ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল মহারাষ্ট্রের একটি বিশেষ আদালত। দশ বছর ধরে মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক শ্রীকান্ত আনেকার। জুন্দল ২৬/১১ মামলাতেও অন্যতম অভিযুক্ত।
২০০৬ সালের ৮ মে ঔরঙ্গাবাদের কাছে চন্দওয়াড়-মনমাড় জাতীয় সড়কে ধাওয়া করে একটি টাটা সুমো ও ইন্ডিকা গাড়ি আটকায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৩০ কেজি আরডিএক্স, ১০টি একে ৪৭ রাইফেল ও ৩ হাজারেরও বেশি গুলি। তিন জঙ্গি ধরা পড়লেও পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সইদ জাবিউদ্দিন আনসারি ওরফে আবু জুন্দল। মহারাষ্ট্রের বিড় জেলার বাসিন্দা জুন্দল প্রথমে মালেগাঁওয়ে গা ঢাকা দেয়। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। পরে ২০১২-তে তাকে হাতে পান ভারতীয় গোয়েন্দারা। পশ্চিম এশিয়ার কোনও দেশ থেকে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
পুলিশ জানায়, জুন্দলকে জেরা করে বেশ কয়েকটি ডেরায় হানা দিয়ে প্রচুর বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ঔরঙ্গাবাদ অস্ত্র মামলায় তার বিচার শুরু হয় ২০১৩-তে। এ দিন সেই মামলারই রায় দিল মহারাষ্ট্রের বিশেষ আদালত। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ২২ জনের মধ্যে এক জনকে রাজসাক্ষী করে পুলিশ। দোষী সাব্যস্ত হয় জুন্দল-সহ ১২ জন। বেকসুর খালাস হয়েছে ৮ জন। এক জন এখনও ফেরার। সরকারি আইনজীবী জানান, এই মামলায় অভিযুক্তরা যে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ টোগাডিয়াকে খুন করতে চেয়েছিল, সে কথা মেনে নিয়েছে আদালত।