এবিভিপির উদ্যোগে মূল ভূখণ্ডের ছাত্রদল হাফলঙে

জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে ডিমা হাসাও জেলা সফরে এল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ষোলটি রাজ্যের পড়ুয়ারা। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উদ্যোগে এই সফরে অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ওড়িশা, ছত্তীস্গঢ়, বিহার, রাজস্থান, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা থেকে রবিবার ওই পড়ুয়ার দল হাফলঙে এসে পৌঁছয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে ডিমা হাসাও জেলা সফরে এল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ষোলটি রাজ্যের পড়ুয়ারা। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উদ্যোগে এই সফরে অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ওড়িশা, ছত্তীস্গঢ়, বিহার, রাজস্থান, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা থেকে রবিবার ওই পড়ুয়ার দল হাফলঙে এসে পৌঁছয়। ছাত্রদের স্বাগত জানায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ডিমা হাসাও জেলা কমিটি। আজ তারা হাফলং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।

Advertisement

উত্তর প্রদেশ থেকে আসা রাজেন দ্বিবেদী জানিয়েছেন, এই প্রথম তারা উত্তর-পূর্বে এসেছেন। ঐক্য ও সংহতির বার্তা নিয়ে মোট চারটি দল হাফলং, শিলচর, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সেখানকার কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কলাকৃষ্টি নিয়ে মত বিনিময় করবে। উত্তর প্রদেশ থেকে আসা ওই কলেজ পড়ুয়া জানান, রবিবার হাফলঙে বিভিন্ন গ্রাম-সহ জেলার ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ ও জাটিঙ্গার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে তারা অভিভূত।

গত কাল রাতে পরিষদের চেয়ারপার্সন রানু লাংথাসা ও পরিষদের অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ওই লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান সবার মন জয় করে নিয়েছে বলে জানান রাজন। ওই কলেজ পরুয়ার মতে, ডিমা হাসাও জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। কারণ এই জেলায় শিক্ষার মান কিছুটা নীচে রয়েছে। হাফলং সরকারি কলেজে পড়ুয়াদের জন্য আরো উন্নত পরিষেবার ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন বলে তারা মনে করে। এই দলের গ্রুপ কো-অর্ডিনেটর তথা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রত্নদ্বীপ দে বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের জন্য যেমন শিক্ষার মান উন্নত করা জরুরি, ঠিক একই ভাবে পাহাড়ি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি দরকার। এ বিষয়ে সরকার ও পার্বত্য পরিষদকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন