National News

কণ্ঠরোধ নয়, মাও-যোগের স্পষ্ট প্রমাণেই ভারভারাদের গ্রেফতার, হলফনামায় জানাল মহারাষ্ট্র পুলিশ

লিখিত হলফনামায় পুলিশের দাবি, বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠরোধ করতে বা ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদকে দমন করতে বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতার করা হয়নি। বরং ধৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদী-র ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং বড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩২
Share:

গ্রেফতারের পর ভারাভারা রাও।—ফাইল ছবি

বিরুদ্ধ মত প্রকাশ বা রাজনৈতিক রং দেখে নয়, নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাও-যোগের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিত ভাবে এই দাবি করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। শুধু তাই নয়, ধৃত পাঁচ জন যে বড়সড় নাশকতার ষড়যন্ত্রে সরাসরি যুক্ত সেই প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

গত ২৮ অগস্ট একযোগে দেশের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে ভারাভারা রাও, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেররা এবং গৌতম নওলখাকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-সহ কিছু বিশিষ্টজন। মামলায় ধৃত বিশিষ্টজনদের পুলিশি হেফাজতের পরিবর্তে ‘হাউস অ্যারেস্ট’ বা গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি গ্রেফতারির কারণ লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

সেই নির্দেশ মতোই বুধবার লিখিত ভাবে গ্রেফতারির কারণ ব্যাখ্যা করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। লিখিত হলফনামায় পুলিশের দাবি, বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠরোধ করতে বা ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদকে দমন করতে বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতার করা হয়নি। বরং ধৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদী-র ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং বড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আরও পডু়ন: দাঁড়িয়ে থেকে সৎ মেয়েকে গণধর্ষণ করাল মা, উপড়ানো হল চোখ

হলফনামায় পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘ধৃতরা শুধু যে মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তা-ই নয়, সমাজে বড়সড় অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের মোবাইল, ল্যাপটপ ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে উদ্ধার নথিপত্রে এটা স্পষ্ট, তাঁরা গেরিলা যুদ্ধ, বড়সড় নাশকতা, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, এবং সম্পত্তি ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘দলিত’ শব্দ ব্যবহারে না, নির্দেশ কেন্দ্রের

সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীদের প্রধান হিসাবে রোমিলা থাপারের সঙ্গে ছিলেন অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েক এবং দেবিকা জৈন, সমাজতত্ত্ববিদ সতীশ দেশপাণ্ডে এবং আইন বিশেষজ্ঞ মাজা দারুওয়ালাও ছিলেন। পুলিশ এদিন হলফনামায় জানিয়েছে, মামলাকারী এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও খোঁজখবর শুরু হয়েছে।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন