গোমাংস ভোজের পরে অধিবেশন কেরলে

কেরলের অন্যতম প্রধান খাদ্য গোমাংস। তাই হত্যার জন্য গবাদি পশু বিক্রি বন্ধে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে তার প্রতিবাদে কেরলে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছিল গোমাংস উৎসব। প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্যেও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০৩:৪৭
Share:

কেরল বিধানসভায় আজকের দিনটা ছিল অন্য দিনের থেকে আলাদা। কারণ কেন্দ্রের নয়া গবাদি-বিধি নিয়ে আলোচনার জন্য এক দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। আর গোমাংস খেয়ে সেই অধিবেশনে যোগ দিলেন বিধায়করা।

Advertisement

কেরলের অন্যতম প্রধান খাদ্য গোমাংস। তাই হত্যার জন্য গবাদি পশু বিক্রি বন্ধে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে তার প্রতিবাদে কেরলে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছিল গোমাংস উৎসব। প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্যেও। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করতে একজোট হয়েছে কেরলের শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে তারা। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে প্রস্তাব পাশ হয়েছে সভায়। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন কেবল বিজেপি বিধায়ক ও রাজাগোপাল।

এ দিন সভায় হাজিরাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্যান্টিনেও গোমাংসের ঢালাও আয়োজন ছিল। আনা হয়েছিল ১০ কেজি গোমাংস। অন্য দিন সকাল এগারোটার পরে গোমাংস মেলে। সেখানে আজ সকালে বিফ ফ্রাই তৈরি হয়েছিল। আর তা দিয়েই প্রাতরাশ সেরে অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন বিধায়করা। ক্যান্টিনের এক কর্মী জানিয়েছেন, দেবীকুলামের সিপিএম বিধায়ক এস রাজেন্দ্রন প্রথম ক্যান্টিনে এসে বিফ ফ্রাই খেয়েছেন।

Advertisement

দেখেশুনে ইন্টারনেটে এক রসিকের মন্তব্য, ‘‘এত সকালে গোমাংস! ওঁদের উচিত এখনই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন