তুরস্কের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ স্থগিত রাখল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতা (মউ) স্থগিত রাখল ভারতের আরও এক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তুরস্কের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের সঙ্গে মউ স্থগিত রাখল। বুধবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ও তুরস্কের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ স্থগিত করেছিল।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হলেও উত্তেজনা কমেনি। পহেলগাঁও কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সামরিক সংঘর্ষ ঘিরে এ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। শুধু পাকিস্তানই নয়, তুরস্কের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে দেশে। তুরস্ক পাকিস্তানকে সমর্থন করার কথা সরাসরি জানিয়েছে আগেই। তুরস্ক থেকে ড্রোন এবং অন্য বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি পেয়েছে পাকিস্তান— ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনাচক্রে, ভারতে হামলা চালানোর সময়েও পাকিস্তান বিভিন্ন ড্রোন ব্যবহার করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ড্রোনগুলির প্রাথমিক ফরেনসিক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে সেগুলির মধ্যে বেশি কিছু তুরস্কে তৈরি। এই অবস্থায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হলেও দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে তুরস্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমেছে।
জামিয়ার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপক সাইমা সৈয়দ জানান, তুরস্কের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যে মউ ছিল, সেই সবই স্থগিত রাখা হয়েছে। তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি শিক্ষা সংক্রান্ত একটি মউ ছিল জেএনইউয়েরও। জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে বুধবারই সেই মউ চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জেএনইউয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিতের কথায়, “তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে মদত দিয়েছে। এটি এড়িয়ে যাওয়া যায় না।”
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় (অধুনা ছত্রপতি শাহুজি মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়) ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে।