রাতের জাতীয় সড়কে খুন নববধূ, লুটপাটও

২০১৬ সালে বুলন্দশহরের জাতীয় সড়কে মা এবং তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার পরে উত্তরপ্রদেশের জাতীয় সড়কগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করেছিল পুলিশ। কিন্তু ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কে খুন এবং ডাকাতির ঘটনায় সেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ১৬:৪৯
Share:

২০১৬ সালে বুলন্দশহরের জাতীয় সড়কে মা এবং তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার পরে উত্তরপ্রদেশের জাতীয় সড়কগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করেছিল পুলিশ। কিন্তু ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কে খুন এবং ডাকাতির ঘটনায় সেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। শুক্রবার রাতে মাতায়ুর গ্রামের কাছে বিয়ে করে ফেরার পথে নববধূকে গুলি করে খুন করে গয়না, টাকা এবং গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় ৪ দুষ্কৃতী। নিহত কনের নাম ফারহানা।

Advertisement

গাজিয়াবাদের নাহাল গ্রামের মেয়ে ফারহানাকে বিয়ে করে শুক্রবার রাতে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা শাহজেব। সঙ্গে ছিলেন বরপক্ষের কয়েক জন। প্রতাপপুরের কাছে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাওয়া সারেন তাঁরা। ১১টা নাগাদ যাত্রা শুরুর পরে শাহজেবরা দেখেন চার জন গাড়িতে করে তাঁদের অনুসরণ করছে। তারা শাহজেবদের গাড়িটিকে ‘ওভারটেক’ করে সেটির রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। পরিবারের সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে আসলে তাঁদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সমস্ত টাকা-গয়না লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। ফারহানা সেই সময় গাড়ির মধ্যেই বসেছিলেন। এক জন দুষ্কৃতী এ বার গাড়ির দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে গায়ের সমস্ত গয়না খুলে দেওয়ার জন্য বলে। ফারহানা বাধা দিলে তাঁকে গুলি করা হয়। জখম ফারহানাকে টেনে গাড়ি থেকে বের করে সমস্ত লুটের মাল এবং শাহবেজদের গাড়িটি নিয়ে পালায় চার দুষ্কৃতী।

শাহবেজ তাঁদের আত্মীয়দের ঘটনাটি জানালে তাঁরা দু’টি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। ফারহানাকে মুজফ্‌ফরনগর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

খুন-লুটপাটের পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তাদের চিহ্নিত করার জন্য জাতীয় সড়কের উপরে সমস্ত পেট্রল পাম্প এবং টোলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন