গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মতোই কংগ্রেস নেতার বক্তব্যেও উঠে এল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মধ্যস্থতার’ অভিযোগ।
মঙ্গলবার ভোপালে একটি কর্মসূচিতে রাহুল বলেন, ‘‘ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি ফোন এসেছিল। নরেন্দ্রজি পত্রপাঠ আত্মসমর্পণ করেন। ইতিহাস সাক্ষী, বিজেপি-আরএসএসের এমনটাই চরিত্র। তারা সব সময় মাথা নত করে।’’ এর পরেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের হুমকি উপেক্ষা করার ইতিহাসের প্রসঙ্গ তোলেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘১৯৭১ সালের যুদ্ধে আমেরিকা তাদের সপ্তম নৌবহর পাঠানো সত্ত্বেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কিন্তু মাথা নোয়াননি।’’
গত বৃহস্পতিবার মমতা সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে নিশানা করে বলেছিলেন,‘‘এত বড় নেতা আপনি, আমেরিকা বললেই চুপ হয়ে যান!’’ তার আগে আলিপুরদুয়ারে জনসভায় মোদী নিশানা করেছিলেন রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘বিরোধীরাও যখন বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন (সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে) সেই সময় নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসাবে এখানে রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী!’’
ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে মোদী ও তাঁর দল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মোদী) আগে নিজেকে চা-ওয়ালা বলতেন। পরে বললেন, পাহারাদার! আর এখন সিঁদুর বেচতে এসেছেন?’’ ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার দুপুরে নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হয়েছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পরবর্তী পরিস্থিতি দেশবাসীর সামনে ব্যাখ্যা করার লক্ষ্যে সংসদের বিশেষ অধিবেশন দাবি করেছেন কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির নেতারা। সেই আবহে তৃণমূলনেত্রীর সুরেই এ বার মোদীর বিরুদ্ধে আমেরিকার চাপে নতিস্বীকারের অভিযোগ তুলে সরব হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।