Police Searches Asianet News Channel Office

খবর নিয়ে শাসকদলের আপত্তি! বামশাসিত কেরলে সংবাদমাধ্যমের দফতরে পুলিশি হানা

শিশুদের যৌনহেনস্থা সংক্রান্ত একটি খবরের জেরে শুক্রবারই এক সংবাদ মাধ্যমের অফিসে হামলা চালিয়েছিল শাসক দলের যুব প্রতিনিধিরা। তার দু’দিন পরেই ওই চ্যানেলের দফতরে এল পুলিশও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোচি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৩
Share:

সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। রবিবার। কোঝিকোড়েতে। ছবি : টুইটার থেকে।

দেশের শাসকদলের সমালোচনামূলক তথ্যচিত্র প্রকাশ করার কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে বিবিসির দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই ঘটনার সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। রবিবার কিছুটা একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ভারতের দক্ষিণের এক রাজ্যে। তবে এ বার সমালোচকের ভূমিকায় দেশের শাসক। সমালোচিত হয়েছে দেশের অন্যতম বিরোধী দল। যারা আবার দক্ষিণের ওই রাজ্যের শাসকও।

Advertisement

রবিবার সকালে কেরলের কোঝিকোড়েতে মালয়ালি সংবাদ সংস্থা এশিয়ানেটের দফতরে পৌঁছে যায় পুলিশ। দীর্ঘ ক্ষণ চলে তল্লাশি অভিযান। কিসের জন্য তল্লাশি তা স্পষ্ট হয়নি। যদিও এশিয়ানেট সেই তল্লাশি অভিযানের ছবি দিয়ে টুইটারে লিখেছে, ‘‘আমাদের সত্য খবর পরিবেশন করার চেষ্টাকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’’

শিশুদের যৌনহেনস্থা সংক্রান্ত একটি খবরের জেরে গত শুক্রবারই এশিয়ানেটের দফতরে আচমকা হাজির হয়েছিলেন কেরলের শাসক দল সিপিএমের যুব শাখা এসএফআইয়ের সদস্যরা। এশিয়ানেট ভুয়ো খবর প্রকাশ করছে এই অভিযোগে একরকম গায়ের জোরেই এশিয়ানেটের অফিসে ঢুকে পড়েন তাঁরা। অফিসের ভিতরে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে শুরু করেন। ঘটনাটির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়াও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। বিষয়টি কেরল সরকারকে খতিয়ে দেখতেও অনুরোধ করেছিল সর্বভারতীয় সংস্থাটি। এর পর রবিবার সকালে পুলিশ এসে হাজির হয় মালয়ালি সংবাদমাধ্যমের দফতরে।

Advertisement

যা নিয়ে এ বার সমালোচনায় সরব হয়েছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এশিয়ানেট তাদের দফতরে পুলিশি অভিযানের যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল টুইটারে তা শেয়ার করেছেন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সামাজিক মাধ্যমে কেরল সরকারকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তাহলে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন মনে করেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা থেকে তিনি এ ভাবে নজর ঘোরাতে পারবেন। সংবাদমাধ্যমের দফতরে প্রথমে এসএফআইয়ের গুন্ডা আর তার পর পুলিশ পাঠিয়ে এ ভাবে মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবেন।’’ এর পর হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘‘জোকার’’ লিখেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজীব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন