ছবি: সংগৃহীত।
শাহবানু মামলায় তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের অধিকার নিয়ে নড়বড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী। এ বার তিন তালাক প্রথাকে শেষ করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার শুরু থেকে কড়া অবস্থান নিলেও শীর্ষ আদালতের রায়ের পরে ক্ষুব্ধ মুসলিম নেতাদের পাশে পেতে মন জয়ের চেষ্টা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৮৬ সালে রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের খোরপোশ পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন প্রবল হইচই শুরু করায় রাজীব আদালতের আদেশ খারিজ করতে ‘মুসলিম মহিলা বিল’ সংসদে পাশ করান। যেখানে বিবাহবিচ্ছিন্নার খোরপোশের দায়িত্ব নেবে নিকট আত্মীয়স্বজন। তাঁরা তা অস্বীকার করলে দায়িত্ব ওয়াকফ বোর্ডের কাছে যাবে। এ বার কিন্তু তিন তালাক নিয়ে শুরু থেকেই কড়া অবস্থান নিয়েছে মোদী সরকার। তবে তালাককে অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে মুসলিম সমাজের একাংশের ক্ষোভ রয়েই গিয়েছে। তা কাটাতেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করলেন মোদী।
মুসলিমদের সংগঠন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ তিন তালাক নিয়ে কোর্টের আদেশ মানতে রাজি নয়। আজ সেই সংগঠনেরই তারিফ করলেন মোদী। স্বচ্ছতা অভিযানে তাদের ভূমিকার কথা টেনে সকলকে দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার পরামর্শও দিলেন। মোদী বলেন, গুজরাতে বন্যার জল কমে যাওয়ার পরে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে। জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের কর্মীরা ২২টি মন্দির আর ৩টি মসজিদ সাফ করতে ঘাম ঝরিয়েছেন। মোদীর মতে, এটি একটি ইতিবাচক উদাহরণ। গাঁধী-জয়ন্তীর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই সকলকে এ ভাবে স্বচ্ছতা অভিযানে নামতে হবে। ‘স্বচ্ছতাই সেবা’-এই মনোভাব নিয়েই উৎসবের প্রস্তুতি নিতে হবে। তা ইদ হোক বা দুর্গাপুজো। জমিয়ত অবশ্য বলেছে, মোদীর বক্তব্যের পরেও তালাক নিয়ে তারা অবস্থান বদলাচ্ছে না।