করিমগঞ্জের পূর্ত সড়ক যেন ‘নরক’।
হাসপাতাল রোড, সুভাষনগর, শিববাড়ি রোড, ব্রজেন্দ্র রোড, পূর্ববাজারের মতো রাস্তায় যাতায়াত করাই দায়। এমনই অভিযোগে করিমগঞ্জের পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হুসেন চৌধুরীকে ঘেরাও করল জেলা বিজেপি।
আজ দুপুরে করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি এবং মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীরা প্রাক্তন বিধায়ক মিশনরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে মিছিল বের করেন। শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা ঘুরে মিছিল পৌঁছয় পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয়ে। তাঁকে ঘেরাও করে অভাব-অভিযোগের কতা তুলে ধরেন বিজেপি নেতারা। প্রাক্তন বিধায়ক মিশনরঞ্জন বলেন, ‘‘করিমগঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা কষ্টসাধ্য। শহরের কয়েকটি রাস্তায় ব্লক লাগানো হলেও সেগুলি নিম্নমানের।’’ প্রাক্তন বিধায়কের অভিযোগ, যে কারখানা থেকে ব্লক আনা হচ্ছে সেটি বর্তমান জনপ্রতিনিধির মালিকানাধীন। পূর্ত বিভাগের কাজ ছাড়া অন্য কোথাও সে সব ব্লক ব্যবহার হয় না। শহর তথা উত্তর করিমগঞ্জ সমষ্টির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা, সেতু তৈরির শিলান্যাসের ফলক লাগানো হয়েছে। কিন্তু কাজই শুরু হয়নি।
মিশনবাবুর অভিযোগ, সেই সব প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। কিন্তু ফলক লাগিয়ে নাগরিকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিজেপির তরফ থেকে ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হয়— রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হলেও পূর্ত বিভাগ কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না? তাঁদের অভিযোগ, শাসক কংগ্রেসের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সমষ্টির উন্নয়নে ব্যর্থ।
বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষবাবু। তাঁর মন্তব্য, ‘‘তিন বারের বিধায়ক ছিলেন মিশনবাবু। কিন্তু ওঁর আমলে শহরের কোনও উন্নয়নই হয়নি। কংগ্রেস করিমগঞ্জের উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তাতেই বাধা দিতে চাইছে বিজেপি।’’
পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার জানান, বিভাগের তরফ থেকে প্রকল্পের পরিকল্পনা তৈরি করে গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়। কিন্তু সব সময় এক দফায় টাকা আসে না বলে সমস্যা হয়।