চোরাশিকারিরা যে উত্তরবঙ্গের অভয়ারণ্যগুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বারবার গন্ডার ও হাতির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সামনে আসছে তা। সামনে এসেছে অসমের চোরাশিকারিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়টিও। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা ছাড়া এই বিশাল চক্র রুখতে প্রশাসন যে কার্যত ব্যর্থ বারবার সেই অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। ২০১১ সালের পর এই কয়েক বছরে জলদাপাড়া ও গরুমারায় চোরাশিকারের বলি হয়েছে মোট আটটি গন্ডার। এর মধ্যে জলদাপাড়াতেই পাঁচটি গন্ডারের দেহ পাওয়া গিয়েছে।
গত ছ’মাসে তিনটি গন্ডারের খড়্গহীন দেহ উদ্ধার হয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে। ফেব্রুয়ারি মাসে গুলিবিদ্ধ দু’টি গন্ডারের দেহ মেলে। একটি জলদাপাড়ার ফিফটি ফিফটি বিটে, অন্যটি চিলাপাতার মেন্দাবাড়ি বিটে। দু’টি গন্ডারেরই খড়্গ কেটে নেওয়া হয়েছিল।
এরপর ফের ৪ জুলাই চিলাপাতার বানিয়া রেঞ্জে উদ্ধার হয় গুলিবিদ্ধ একটি গন্ডারের পচাগলা দেহ। এ ক্ষেত্রেও খড়্গটি কেটে নেওয়া হয়েছে। ফিফটি ফিফটি বিটে গন্ডারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শালকুমারহাট থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মেন্দাবাড়ির গন্ডার শিকারের ঘটনাতেও এখনও অভিযুক্তরা অধরা। চিলাপাতার সাম্প্রতিক গন্ডার চোরাশিকারের ঘটনাতেও এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ।
এরই প্রতিবাদে আজ চিলাপাতায় বনদফতরের অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বনবস্তির বাসিন্দারা। গন্ডার শিকারিদের ধরার দাবি ও চোরাশিকার রুখতে বনবস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার দাবিতে সরব হয় উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবী মঞ্চ। এদিকে চোরাশিকারিদের হদিস দিলে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলে এলাকায় পোস্টার ছড়িয়েছে বনদফতর।