একতরফা রায়ে ডি ভোটারদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানোর প্রতিবাদে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কাছাড় জেলা কমিটি। গত কাল জেলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রথম পর্যায়ে ১৪ অগস্ট জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসবেন।
জেলা কমিটির সভাপতি কৌশিক রাই ও সম্পাদক প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অমানবিক ভাবে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও জেলে ঢোকানো হচ্ছে।’’ এ জন্য তারা রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেন। বিজেপির দাবি, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সকলেরই ১৯৭১ সালের আগের নথিপত্র রয়েছে। ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য তাই যথেষ্ট। কিন্তু পুলিশ বা ট্রাইব্যুনাল কর্মীরা তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরার সমনই পৌঁছে দেননি। ফলে তাঁরা ট্রাইব্যুনালে মামলার তারিখ জানতে পারেননি, দেখাতে পারেননি নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। বিজেপি নেতাদের যুক্তি, সমন পেয়ে কাগজপত্র হাতে রেখে কেউ আদালতে না গিয়ে বাড়িতে বসে থাকতে পারে না। এ সব ঘটনা প্রমাণ করে, অভিযুক্তদের কাছে সমন পাঠানোই হয়নি। এ ভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানির বিরুদ্ধেই তাঁদের আন্দোলন বলে বিজেপি নেতারা জানান। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ বা ট্রাইব্যুনাল কর্মী, ভুল যেহেতু রাজ্য সরকারের কর্মী করেছেন, শোধরানো তাঁদেরই প্রয়োজন।’’ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের গ্রেফতার ঠেকাতে তিনি জোরালো আর্জি জানান। প্রসঙ্গত, করিমগঞ্জ থেকে ১০২ বছরের রেপতি দাস ও তাঁর ৯০ বছর বয়সের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে শিলচর জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। উধারবন্দে জেলে পাঠানো হয়েছে ৭০ বছরের বৃদ্ধা প্রতিমা রায়কে। কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের রায়ে ৬৫ জনকে শিলচর জেলে ঢোকানো হয়েছে।