ডিএম অফিসে বিক্ষোভ রিকশাচালকদের

পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে করিমগঞ্জের জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শহরের রিকশাচালকরা। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। শহর থেকে অটোরিকশা তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

জেলাশাসকের দফতরের সামনে জখম রিকশাচালককে নিয়ে বিক্ষোভ। বুধবার। ছবি: শীর্ষেন্দু শী।

পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে করিমগঞ্জের জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শহরের রিকশাচালকরা। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। শহর থেকে অটোরিকশা তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। শহরের ব্যস্ত এলাকায় রিকশা-সহ চালকদের ভিড়ের জেরে যানবাহন থমকে যায়।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত কাল বিকেলে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, যাত্রী কোন রিকশায় উঠবেন তা নিয়ে সাধন নমঃশূদ্র নামে এক রিকশাচালকের সঙ্গে অন্য এক চালকের বচসা শুরু হয়। তা থেকে ছড়ায় হাতাহাতি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সাধনবাবু। তাঁর দাঁত ভেঙে রক্ত বের হতে থাকে। অন্য রিকশাচালকরাও সেখানে ভিড় জমান। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরই রিকশাচালকদের কাছে লাইসেন্সের কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। বেশিরভাগ রিকশার কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। সে সব রিকশার ‘সিট’ খুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি মেরে সাধনবাবুকে জখম করার অভিযোগ তোলেন রিকশাচালকরা। শহরের সব জায়গায় রিকশা বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতির দিকে তাকিয় বাজেয়াপ্ত হওয়া সিটগুলি বিনা শর্তে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন শহরের পুলিশকর্তারা।

তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হলেও, আজ সকালে ফের আন্দোলন শুরু করেন রিকশাচালকরা। রিকশা দিয়ে জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবরোধ করা হয়। একটি রিকশায় বসিয়ে রাখা হয় সাধনবাবুকে। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, বিনা কারণে কেন সাধনবাবুকে লাঠিপেটা করা হল? যত ক্ষণ পর্যন্ত না দোষী পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ আন্দোলন চালানোর হুমকি দেওয়া হয়। তাঁরা দাবি করেন, করিমগঞ্জ শহরে হাজার তিনেক অটোরিকশার জন্যই যানজট সব চেয়ে বেশি হয়। কিন্তু সে জন্য দায়ী করা হয় সাধারণ রিকশাগুলিকেই। টাকার বদলে ‘পার্কিং জোন’গুলিতে অবৈধ ভাবে গাড়ি রাখতে দেয় পুলিশ। কিন্তু সব সময় রিকশাচালকদের হেনস্থা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শহরে অটোরিকশা বন্ধ করতে হবে, সাধনবাবুর চিকিৎসার খরচ ও ক্ষতিপূরণ এবং পুলিশ কেন তাঁকে লাঠিপেটা করল তা নিয়ে তদন্ত করতে হবে। সে সব দাবিপূরণে কয়েক ঘণ্টা জেলাশাসকের দফতরের সামনে সারিবদ্ধ ভাবে রিকশা রেখে ধর্নায় বসেন চালকরা। ওই আন্দোলনের জেরে জেলাশাসক দফতর চত্বরে সিআরপি বাহিনী মোতায়েন করা
হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement