অগুস্তা মামলার ‘মৃত’ সাক্ষী ২৪ ঘণ্টায় জীবিত!

অগুস্তা মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী কে কে খোসলা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরী সেই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৯
Share:

মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘মৃত’ বলেছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ জানা গেল, সেই তিনি, অর্থাৎ কে কে খোসলা দিব্যি বেঁচে আছেন। অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড সংস্থা থেকে ভিভিআইপি-দের চপার কেনার দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় আগামিকাল তিনি হাজিরাও দেবেন বিশেষ আদালতে!

Advertisement

অগুস্তা মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী কে কে খোসলা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরী সেই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। রাতুলের সংস্থাতেই চাকরি করেন খোসলা। গ্রেফতারি এড়াতে আগামিকাল কোর্টে নিজের যুক্তি পেশ করতে হবে রাতুলকে। সেই সময়েই খোসলাকে হাজির থাকতে বলেছেন বিচারক। ইডি-র দাবি, কারা কত টাকা ঘুষ নিয়েছেন, সেই বিস্তারিত হিসেবের কাগজপত্র খোসলার কাছেই আছে।

অথচ গত কাল আদালতে ইডি অফিসারেরাই বলেন, ‘‘যখনই ওঁর (খোসলার) বাড়িতে গিয়েছি, ওঁকে পাইনি। হয়তো উনি আর বেঁচে নেই।’’ আজ সেই অবস্থান থেকে সরে এসে তাঁরা বলেন, ‘‘বিবাদী পক্ষ জানিয়েছে তিনি বেঁচে আছেন ও যখনই প্রয়োজন হবে, আদালতে হাজিরা দেবেন।’’

Advertisement

আজ রাতুলের আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে শুনানির সময়ে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আর্জি জানায় ইডি। বিশেষ বিচারক অরবিন্দ কুমারের আদালতে তদন্তকারী সংস্থাটি আজ অভিযোগ করে, ‘‘সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছেন রাতুল। লোকে তাঁকে ভয় পাচ্ছে। বহু সাক্ষীই অভিযোগ করেছেন যে, রাতুল তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন।’’ আদালত রাতুলকে আগামিকাল পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দিয়েছে।

আজই দিল্লি হাইকোর্টে অগুস্তা মামলার আর এক অভিযুক্ত ক্রিশ্চিয়ান মিশেল সংক্রান্ত একটি মামলা ওঠে। দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি মিশেলকে সপ্তাহে মোট ১৫ মিনিট বিদেশে ফোন করার অনুমতি দিয়েছে নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জেল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে বলেছেন, জেল ম্যানুয়ালে সপ্তাহে ১০ মিনিট করে ফোনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে। বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী ২১ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিনে মিশেলকে আদালতে হাজির করতে হবে।

অগুস্তা চপার কাণ্ডে আরও প্রমাণ জোগাড় করল আয়কর দফতর। হায়দরাবাদের একটি সংস্থায় তল্লাশি করে এই তথ্যপ্রমাণ মিলেছে বলে বুধবার জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)। চপার দুর্নীতিতে ধৃত রাজীব সাক্সেনার সঙ্গে ওই সংস্থার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল বলে অভিযোগ। ওই সংস্থায় তল্লাশিতে চারটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, হিসেব বহির্ভূত ৪৫ লক্ষ টাকা ও ৩.১ কোটি টাকার গয়না মিলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন