প্রতীকী ছবি।
রাজপ্রাসাদ ছেড়ে পালিয়েছিলেন দুবাইয়ের রাজকন্যা। তাঁকে ‘আটক’ করে দুবাইয়ে ফেরত পাঠিয়েছিল ভারত। তার ‘উপহার’ হিসেবেই অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্রিটিশ দালাল ক্রিশিয়ান মিশেলকে ভারতে পাঠাতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সাহায্য করেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, চলতি বছরের গোড়ায় দুবাইয়ের শাসক, আমিরশাহির প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের কন্যা শেখ লতিফা একটি জাহাজে চেপে পালিয়ে গোয়ায় ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী সেই জাহাজ আটক করে রাজকন্যাকে দুবাইয়ে ফেরত পাঠায়। এর পরেই মিশেলের ব্যাপারে সাহায্য করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে দুবাই। আমিরশাহির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মিশেল আদতে ব্রিটিশ নাগরিক। আজ নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন মিশেলের সঙ্গে দেখার করতে চেয়ে অনুরোধ করেছে। এ দিকে বুধবার রাত থেকে সিবিআই দফতরে জেরা করা হচ্ছে মিশেলকে। সিবিআই মুখপাত্র বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের অনুরোধ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মিশেলকে বুধবার সারা রাত জেরা করেন সিবিআই অফিসারেরা। মানসিক চাপে ৫৭ বছরের মিশেলের ‘অ্যাংজ়াইটি অ্যাটাক’ হয়। ডাক্তার ডাকতে হয়। ভোররাতে দু’ঘণ্টা ঘুমনোর পরে ফের তাঁকে জেরা করা হয়। জেরার মুখে ভিভিআইপি চপারের জন্য কোনও রকম ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন মিশেল। পুরো দায় তিনি চাপিয়ে দেন ইউরোপের দালাল গুইডো হাসকে-র উপর। সিবিআই সূত্রের খবর, মিশেল ভারতে এলে তিনি তাঁর গাড়ি চালাতেন, সেই চালককেও জেরা করা হবে। গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, চালকের মাধ্যমেও অনেককে ঘুষের টাকা পাঠিয়েছিলেন মিশেল। ভিভিআইপি কপ্টারের বরাত পেতে শুধু বিমানের টিকিটের পিছনেই মিশেল ১২ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন বলে ইডি-র দাবি।