ভবেশ পটেল
অজমের দরগা বিস্ফোরণ মামলায় জয়পুরের আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল তাঁকে। রাজস্থান হাইকোর্ট থেকে গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন। সেই বছর চল্লিশের ভবেশ পটেল অজমের থেকে গুজরাতের ভারুচে ফিরলেন মানুষের কাঁধে চড়ে। সঙ্গে পুষ্পবৃষ্টি, আতসবাজি আর ডিজে-র গর্জন। যে ঠাসাঠাসি ভিড়টা তাঁকে এমন সংবর্ধনা দিয়ে ঘরে ফেরাল, তার মধ্যে বিজেপি, আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতা-কর্মীরা ছিলেন যথেষ্ট সংখ্যায়।
নিজেকে এখন ‘স্বামী মুক্তানন্দ’ বলে পরিচয় দেন ভবেশ। গেরুয়া পোশাক, মাথায় গেরুয়া পাগড়ি। রবিবার ভারুচ স্টেশনে ভবেশ পা রাখতেই তাঁকে মালা পরিয়ে স্বাগত জানান অজস্র মানুষ। বাড়ি যাওয়ার আগে স্বামীনারায়ণ মন্দিরে যান তিনি। সেখান থেকে ভবেশকে কাঁধে চড়িয়ে স্লোগান দিতে দিতে নিয়ে যান সমর্থকেরা। ভিড়ের মধ্যে দেখা যায় ভারুচ পুরসভার প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি নেত্রী সুরভিবেন তামাকুওয়ালা, কাউন্সিলর এম আতোদারিয়া, ভিএইচপি-র ভিরাল দেশাই ও সঙ্ঘের বেশ কয়েক জন সমর্থককে। নেত্রীর বক্তব্য, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে মেসেজ পেয়ে সেখানে যাই। ভবেশ পটেলকে চিনি না।’’ ২০০৭-এর ১১ অক্টোবরের ওই বিস্ফোরণে বোমা রাখায় দোষী সাব্যস্ত হন ভবেশ। কাউন্সিলর আতোদারিয়ার বক্তব্য, ‘‘শুনেছি, জেলে ভবেশ নিজেকে পাল্টে ফেলেছে। তাই সংবর্ধনা জানাতে যাই।’’ ভিএইচপি-র দেশাই রাখঢাক না-করেই জানান, ভবেশ তাঁর খুব কাছের বন্ধু ও দীর্ঘদিন ধরেই আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত।