মায়াকে নিয়ে আশাই দেখছেন অখিলেশ

উনিশের ভোটে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীকে সঙ্গে পাওয়ার প্রশ্নে আত্মবিশ্বাসী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। পাঁচ রাজ্যের ভোটপর্ব মিটে গেলেই এই নিয়ে কথা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

অখিলেশ সিংহ যাদব। ছবি: পিটিআই।

উনিশের ভোটে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীকে সঙ্গে পাওয়ার প্রশ্নে আত্মবিশ্বাসী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। পাঁচ রাজ্যের ভোটপর্ব মিটে গেলেই এই নিয়ে কথা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে মায়াবতীর সঙ্গে জোট গড়েই লড়তে চেয়েছিল কংগ্রেস এবং এসপি। সাড়া দেননি বিএসপি নেত্রী। কিন্তু তাতে হতোদ্যম হওয়ার কারণ দেখছেন না এসপি নেতৃত্ব। দলের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের বাইরের রাজ্যের নির্বাচনে এসপি এবং বিএসপি উভয়েই চাইছে নিজের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে। অখিলেশের মতে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে কোনও সমঝোতা হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘গত তিন বিধানসভায় যেখানে যেখানে আসন হারাচ্ছি, তা পুনরুদ্ধার করার একটা চেষ্টা চলছে। এই ক্ষেত্রে একটা পর্যায়ের পর তো আর সমঝোতা হয় না। কারণ উভয়েই চাইছি বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে জাতীয় দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে।’’ লোকসভা ভোটের অঙ্ক আলাদা।

তা ছাড়া অখিলেশের কথায়, ‘‘মধ্যপ্রদেশে আমরা এখনও পর্যন্ত এমন কোনও আসনে প্রার্থী দিইনি, যেখানে মায়াবতীর প্রার্থী রয়েছে।’’ অর্থাৎ, অখিলেশের নীতি হল, সরাসরি লড়াই এড়িয়ে গিয়ে সদর্থক বার্তা দেওয়া। কৌশলগত ভাবে লড়ে বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করা। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা গোরক্ষপুরে ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনে আমাদের জোট জিতেছে। ফুলপুরেও তাই। বাকিটা দেখা যাবে লোকসভা ভোটে।’’

Advertisement

ঠিক কতগুলি আসন পেলে তাঁরা লোকসভায় জোটে রাজি হবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কিন্তু ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন মায়া। জানিয়েছেন, ‘সম্মানজনক’ আসন পেলে তবেই একসঙ্গে লড়াইয়ের কথা ভেবে দেখবেন। এসপি সূত্রের বক্তব্য, রাজনীতিতে সম্মানজনক বলে কোনও কথা হয় না। নির্দিষ্ট ঠিক কতগুলি আসন বিএসপি নেত্রী চাইছেন, তা তাঁকে স্পষ্ট করে বলতে হবে। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট হয়ে গেলেই সংখ্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন অখিলেশ। আগে থেকে মুখ খুলে কোনও ভুল বার্তা মায়াবতীকে দিতে চাইছেন না মুলায়মপুত্র। বিজেপি যাতে বিএসপি-এসপি মতান্তরের জন্য কোনও বাড়তি সুবিধা না পেয়ে যায় তার জন্যও সতর্ক থাকার চেষ্টা হচ্ছে। অখিলেশের কথায়, ‘‘আসন সংখ্যা আমাদের মধ্যে অন্তরায় হয়ে উঠবে না। বন্ধুত্বের জন্য প্রয়োজন ত্যাগ এবং মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। জোট যথাসময়ে পরিণতি পাবে এবং যা করার করে দেখাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন