ফাইল চিত্র।
সাইকেল হাত ফস্কে গেল মুলায়মের। দলের কর্তৃত্ব থেকেও পিছু হটতে হল তাঁকে। কারণ, দীর্ঘ বিবেচনার পর সোমবার সন্ধ্যায় অখিলেশের পক্ষেই রায় দিল নির্বাচন কমিশন।
সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেলের উপর অখিলেশেরই অধিকার থাকবে বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি অখিলেশই যে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তাও মেনে নিল কমিশন।
বহু দিন ধরেই উত্তরপ্রদেশের যাদব পরিবারে সপা-র প্রতীক সাইকেল এবং দলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। ভোটের আগে সে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে মুলায়ম এবং অখিলেশ দু’জনেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দুই পক্ষই নিজেদের মতো প্রমাণ হাজির করেছিল নির্বাচন কমিশনের সামনে। মুলায়মের দাবি ছিল, সপার প্রতিষ্ঠাতা তিনি, তাই ‘সাইকেল’ প্রতীক তাঁর হাতেই থাকা উচিত। আর অখিলেশ শিবিরের তরফ থেকে রামগোপাল যাদব কমিশনে গিয়ে নথিপত্র পেশ করে জানিয়ে এসেছিলেন যে, দলের ৯০ শতাংশ জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারী অখিলেশের পক্ষে। তাই অখিলেশের হাতেই সপা তথা ‘সাইকেল’-এর কর্তৃত্ব থাকা উচিত। দু’পক্ষের পেশ করা তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই এই ঘোষণা করে কমিশন।
এমনটা যে হতে পারে তার আঁচ অবশ্য এ দিন সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। অখিলেশের সঙ্গে বহু দিন ধরেই দলের রাশ নিয়ে দড়ি টানাটানি চললেও ছেলের সম্বন্ধে কোনওদিন বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা যায়নি মুলায়মকে। অথচ সোমবার সকালে ছেলেকে মুসলিম বিরোধী বলে মন্তব্য করেন তিনি। এও জানান যে, অখিলেশ নাকি তাঁর কোনও কথাও শুনতে চাইছেন না। কমিশনের রায়ের কাউন্টডাউন শুরু হতেই মুলায়মের আচমকা এই মন্তব্যই সমাজবাদী পার্টিতে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। সব কিছু যে হাতছাড়া হতে চলেছে তা বুঝতে পেরেই মুলায়মের এই উল্টো চাল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ছেলে মুসলিম বিরোধী: প্রতীক নিয়ে রায়ের আগে আচমকা তোপ মুলায়মের