হিন্দীভাষী ব্যবসায়ী নন্দলাল শাহ ও তাঁর কন্যা কাজলকে হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তথা আলফা জঙ্গি মুহিধর মরাণকে গ্রেফতার করল যৌথবাহিনী। আলফা অবশ্য দাবি করেছে, মুহিধর আত্মসমর্পণ করা জঙ্গি। পুলিশ প্রধান খগেন শর্মা তাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দীভাষীদের হত্যা করিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, তিনসুকিয়ার তরণী সংরক্ষিত অরণ্য থেকে মুহিধর ওরফে জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, সিআরপি ও এসএসবি-র যৌথবাহিনী। তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই জঙ্গি, রূপম অসম ও উদয় অসম পালিয়েছে। জনের কাছ থেকে একটি একে-৮১ রাইফেল, ৯০টি গুলি-সহ তিনটি ম্যাগাজিন, সেনার পোষাক ও অন্যান্য সামগ্রী মিলেছে। পুলিশের দাবি, জেরায় জন স্বীকার করেছে, পেঙেরির বিজুলিবনে ব্যবসায়ীর বাড়ি আক্রমণে সেও দলে ছিল।
এ দিকে, আলফা-স্বাধীনের তরফে জানানো হয়, জন অনেক আগেই আত্মসমর্পণ করে পুলিশের আশ্রয়ে ছিল। তাদের দাবি, অসমের ডিজিপি খগেন শর্মা আরএসএস-এর কুমন্ত্রণায় প্রাক্তন আলফা জঙ্গিদের কাজে লাগিয়েই পেঙেরির হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল। এই ভাবে খগেনবাবু আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের দূর্গে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে চাইছেন। এর আগে খোদ রাহুল গাঁধীর কাছেও রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের একাংশ অভিযোগ তুলেছিলেন, খগেন শর্মা বিজেপির ঘনিষ্ঠ লোক। তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্যে কাজ করে চলেছেন. কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুল গাঁধী মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে শর্মার কাজকর্মে নজর রাখার নির্দেশ দেন। শর্মা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে পুলিশ আলফার দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, জন আগে কখনও আত্মসমর্পণ করেনি। আলফা বরাবরের মতোই নিজেদের দোষ ঢাকতে অসত্য কথা বলছে। এ দিকে, এদিন অরুণাচল প্রদেশের জয়রামপুরে আলফার সঙ্গে আসাম রাইফেলসের সংঘর্ষ হয়। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।