চড়-কিল-জুতো, খুদেকে মার শিক্ষকের 

চেয়ারে সিঁটিয়ে বসে খুদে এক পড়ুয়া। উল্টো দিকে অগ্নিশর্মা শিক্ষক। ছাত্রের চুলের মুঠি ধরে সজোরে ঝাঁকিয়ে দিচ্ছে সে। সঙ্গে এলোপাথারি চড়-থাপ্পর। সেই মার সামলে উঠতে না উঠতেই খুদের পিঠে পড়ে জুতোর ঘা। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এই ঘটনার ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই ভয়াবহ এই ‘শিক্ষা’র নমুনা দেখে শিউরে উঠেছেন সবাই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আলিগড় শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

চেয়ারে সিঁটিয়ে বসে খুদে এক পড়ুয়া। উল্টো দিকে অগ্নিশর্মা শিক্ষক। ছাত্রের চুলের মুঠি ধরে সজোরে ঝাঁকিয়ে দিচ্ছে সে। সঙ্গে এলোপাথারি চড়-থাপ্পর। সেই মার সামলে উঠতে না উঠতেই খুদের পিঠে পড়ে জুতোর ঘা। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এই ঘটনার ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই ভয়াবহ এই ‘শিক্ষা’র নমুনা দেখে শিউরে উঠেছেন সবাই। মনে পড়ছে, গত বছর ভাইরাল হওয়া আর এক ভিডিয়োর কথা। যেখানে সংখ্যা মুখস্থ বলতে না পারায় এক খুদেকে বকাঝকা করছেন মা। কেঁদেকেটেও রেহাই পাচ্ছে না শিশুটি।

Advertisement

তবে আলিগড়ের ঘটনাটি আরও ভয়ানক। অভিযোগ, ১৫ নভেম্বর ঘরের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর তা জানতে পারেন ওই শিশুটির বাবা-মা। সাত বছরের শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। পাঁচ মিনিটের ভি়ডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ছাত্রের আঙুল চাবির মতো কিছু জিনিস দিয়ে আঘাত করে ওই গৃহশিক্ষক। ফুটেজে ধরা পড়েছে, শিশুটির আঙুলে কামড়েও দেয় ওই ব্যক্তি। ছেলের দেহের বহু জায়গায় কালশিঁটের দাগ দেখে সন্দেহ হয় বাবা-মা’র। তখনই সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জানা যায় গোটা ঘটনাটি। দেখা গিয়েছে, মারধরের শেষে শিশুটিকে বোতল থেকে জল খেতে বাধ্য করে ওই শিক্ষক। এর পরে ইঙ্গিতে তাকে রীতিমতো শাসাতে থাকে হাসার জন্য। আলিগড়ের পুলিশ সুপার আশুতোষ দ্বিবেদী জানান, ভিডিয়োটি দেখার পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতােরর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন