ফাইল চিত্র।
সাংবাদিক সম্মেলনেই পকেট থেকে নিজের আধার কার্ড বার করলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। বললেন, ‘‘এই তো আধার কার্ড। কী এমন গোপন তথ্য রয়েছে এর মধ্যে? আমার নাম, আমি পুরুষ, ঠিকানা, জন্মসাল— এইটুকুই তো। আমার জাত-ধর্ম কিছুই লেখা নেই। বাকি যে বায়োমেট্রিক তথ্য রয়েছে, সে তো আধার-এর সার্ভারে। সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।’’
দেশের আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর এই মরিয়া সওয়ালের কারণ সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়। যে রায় বলছে, ব্যক্তিপরিসরের অধিকার মৌলিক অধিকার। এবং সরকারের কোনও নীতি তাতে হস্তক্ষেপ করলে আদালত তা খারিজ করতে পারে।
আরও পড়ুন:শীর্ষ আদালতে স্বীকৃতি পেল ব্যক্তিপরিসর
আজ তাই আইনমন্ত্রীর যুক্তি, ব্যক্তিপরিসরের অধিকার সব কিছুর ঊর্ধ্বে নয়। তাতে যুক্তিসঙ্গত সীমারেখা থাকবেই। রায়েও তা বলা হয়েছে। তাঁর দাবি, এই রায়ের সঙ্গে আধারের সম্পর্কই নেই। আধার আইন তৈরিই হয়েছে ব্যক্তিপরিসরের অধিকারের কথা মাথায় রেখে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নিজেই আধার আইন পেশ করে সংসদে তা বলেছিলেন। আধারের তথ্য-সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে প্রাক্তন বিচারপতি বি এন শ্রীকৃষ্ণের নেতৃত্বে কমিটিও রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে আধার বাধ্যতামূলক করা সংক্রান্ত মামলাটিতে এই রায়ের কী প্রভাব পড়বে, নিশ্চিত নন আইনজ্ঞদের অনেকেই। অন্যতম মামলাকারী প্রশান্ত ভূষণ বলছেন, ‘‘এই রায়ে আধার-বায়োমেট্রিক্স নিয়ে কোনও কথা বলা নেই। কিন্তু এর পরে আধার এবং সব আইনই ব্যক্তিপরিসরে হস্তক্ষেপের নিক্তিতে যাচাই হবে।’’ প্রবীণ আইনজীবী সোলি সোরাবজির কথায়, ‘‘এই রায় থেকেই সোজাসুজি বলা যায় না যে, আধারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বা তা অসাংবিধানিক হয়ে যাবে।’’