প্রতীকী ছবি।
মহিলা সেজে বাড়িতে পুরুষ ডেকে নিয়ে এসে পর্ন ভিডিয়ো করতেন। তার পর সেই ভিডিয়ো চড়া দামে অনলাইনে বিক্রি করতেন। এমনই অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম বরুণেশ দুবে।
মহিলাদের মতো সাজপোশাক পরতেন চিকিৎসক। তাঁর সরকারি বাসভবনে পুরুষদের ডেকে নিয়ে আসতেন। তার পর চলত পর্ন ছবির শুটিং। এমনই অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকের স্ত্রী সিম্পি পাণ্ডে। সন্ত কবীর নগর জেলার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বরুণেশ। সিম্পির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ চক্রান্ত বলে পাল্টা দাবি করেছেন চিকিৎসক। আর তার জন্য স্ত্রী সিম্পিকেই দায়ী করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসকের স্ত্রী দাবি করেছেন, গোরক্ষপুরের বাড়িতে তাঁকে এবং তাঁর পুত্রকে রেখে আসতেন। তার পর সরকারি বাসভবনে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করতেন তাঁর স্বামী। মহিলার দাবি, ‘‘পর্ন ওয়েবসাইটে এমন বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো দেখেছি। সেখানে আমার স্বামীকেও দেখা গিয়েছে। সরকারি বাসভবনেই সেই ভিডিয়ো করা হত। স্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমাকে এবং আমার ভাইকে মারধর করা হয়।’’
মহিলার অভিযোগ পেয়েই চিকিৎসকের সরকারি বাসভবনে তল্লাশি চালায় পুলিশ। চিকিৎসকের স্ত্রীর আরও দাবি, তাঁর স্বামী নিজেকে ‘রূপান্তরকামী’ বলেন। চিকিৎসকের স্ত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে চিকিৎসক পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁর সম্পত্তি হাতানোর জন্যই বদনাম করার চেষ্টা করছেন স্ত্রী। জেলা স্বাস্থ্যকর্তা মহেন্দ্র প্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁরাও একটি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তা।