প্রতীকী ছবি।
তুষারধস এড়াতে অমরনাথ গুহার আশপাশ ‘শব্দ-নিষিদ্ধ এলাকা’ হিসেবে বুধবার ঘোষণা করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। কিন্তু মন্ত্রোচ্চারণ, ঘণ্টা বাজানোর মতো পুজোপাঠের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কাজে বিধিনিষেধ আসায় একে ‘তুঘলকি ফতোয়া’ বলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থকেরা। আজ এনজিটি জানিয়েছে, ধর্মীয় আচারে তারা নিষেধাজ্ঞা চাপায়নি। পুরো মন্দির চত্বরকে ‘শব্দ নিষিদ্ধ’ এলাকা হিসেবে ঘোষণাও করা হয়নি। শুধু গুহার ভিতরে প্রকৃতির নিয়মে তৈরি শিবলিঙ্গের সামনে ভক্তরা যাতে নীরবতা রক্ষা করেন, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।
‘শব্দ নিষিদ্ধ’ এলাকা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে এ দিন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি। তা অনুযায়ী, মন্দিরের প্রবেশদ্বারে সিঁড়ির শেষ ধাপ থেকে শিবলিঙ্গ পর্যন্ত এলাকায় জারি হচ্ছে শব্দ নিষেধাজ্ঞা। কোনও জিনিস বা মোবাইল নিয়েও ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। মন্দির বোর্ড আগেই এই নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছিল। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, মন্দিরে ঢোকার আগে মোবাইল ও মালপত্র রেখে আসতে হবে।