Antony Blinken

India-America Relation: মানবাধিকার  নিয়ে দিল্লির কড়া বার্তা আমেরিকাকে

সাংবাদিকদের জয়শঙ্কর জানান, ওই বৈঠকে কেবল রাজনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২২ ০৭:১০
Share:

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

সোমবার আমেরিকার সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের পর ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। দু’দিন পরে তার পাল্টা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুঝিয়ে দিলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিও আমেরিকাকে ছেড়ে কথা বলবে না।

Advertisement

আমেরিকা ছাড়ার আগে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা অন্যের মতামত শুনতেই পারি। কিন্তু, কেন তাঁরা এমন মতামত দিচ্ছেন, সেটাও জানতে হবে। কোন স্বার্থ, কোন লবি বা কোন ভোটব্যাঙ্কের জন্য তাঁরা এই সব বলছেন, জানাটা জরুরি। সুতরাং, যখনই কোনও আলোচনা হবে, আমি আপনাকে বলতে পারি যে খোলাখুলি আলোচনা করব। আর আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশগুলোর মানবাধিকার সম্পর্কে আমরাও খোঁজখবর রাখি। সাম্প্রতিক বেশ কিছু খবর আমাদের কাছেও আছে।” সেগুলো যে অনাবাসী ভারতীয়দের সম্পর্কিত সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের পরেই ব্লিঙ্কেন এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মানবাধিকারের বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই ছিল না বলে দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী। সাংবাদিকদের জয়শঙ্কর জানান, ওই বৈঠকে কেবল রাজনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ছাড়াও ভারতের তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও উপস্থিত ছিলেন। অন্য দিকে সোমবার ভারত-আমেরিকা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানে ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, “আমরা নিয়মিত এই প্রসঙ্গে মত বিনিময় করছি। পাশাপাশি ইদানিং ভারতে কিছু সরকারি, পুলিশ এবং জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের উপরও আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে।”

Advertisement

ভারতের পক্ষে বিষয়টি আরও অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায় ঘরোয়া রাজনীতির কারণে। এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার প্রশ্ন তোলেন, কেন ব্লিঙ্কেনের মুখের উপর জবাব দিল না ভারত? তাঁর কথায়, “দু’দেশের নেতার সামনে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা অশোভন। ভারতীয় মন্ত্রীরা তাঁদের অসন্তোষ ব্যক্ত করতে পারতেন। সে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তা করেননি।” রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করতে পারেন, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল মোদী সরকারের। আর সেই কারণেই ওয়াশিংটনকে এই নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন