Rajya Sabha Election 2024

হিমাচল টলমল! রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর হার, এ বার সরকারের পতন, বলছে উল্লসিত বিজেপি

রাজ্যসভা ভোটে ‘ক্রস ভোটিং’-এর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে গেলেন বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী হর্ষ মহাজনের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৫
Share:

(বাঁ দিকে) সুখবিন্দর সিংহ সুখু এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভা ভোটে ‘ক্রস ভোটিং’-এর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী হর্ষ মহাজনের কাছে। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।

Advertisement

হিমাচলে রাজ্যসভার একটি আসনে সরাসরি লড়াই ছিল কংগ্রেস এবং বিজেপির। ফলে ক্রস ভোটিংয়ের কারণে কংগ্রেস প্রার্থী হেরে গেলে সরাসরি প্রশ্ন উঠল সুখবিন্দর সিংহ সুখু সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে বলে মঙ্গলবার দাবি তুলেছে বিজেপি। অন্য দিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, ‘‘হিমাচলে গণতন্ত্রকে খুন করল বিজেপি।’’

রাজ্যসভা ভোটে ‘ক্রস ভোটিং’-এর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই কংগ্রেস বিধায়কদের অপহরণের অভিযোগ তোলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পাঁচ-ছ’জন বিধায়ককে অপহরণ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং বিজেপি শাসিত হরিয়ানার পুলিশ।’’

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে ৫টায় রাজ্যসভা ভোটের গণনা শুরু হলেও বিধানসভা ভবনে বিজেপি এবং কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোলের জেরে তা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ভোট চলাকালীনই ‘খবর’ মিলেছিল কংগ্রেসের অন্তত ছ’জন বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সুখুও ক্রস ভোটিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কয়েক জন বিধায়ক বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।’’

৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ৪০। এ ছাড়া তিন জন নির্দল বিধায়ক সুখু সরকারকে সমর্থন করছিলেন। অন্য দিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫। কিন্তু রাজ্যসভা ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট, গরিষ্ঠতা সুখুর পক্ষে নেই। বস্তুত, বস্তুত, হিমাচলে কংগ্রেস পরিষদীয় দলে ভাঙনের আঁচ মিলেছিল মঙ্গলবার সকালেই। হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভা সাংসদ প্রতিভা সিংহ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের কার্যকলাপে কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশের ক্ষোভ রয়েছে। রাজ্যসভা ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।’’ কংগ্রেসের অন্দরের রাজনীতিতে প্রতিভা ‘সুখু বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত।

ঘটনাচক্রে, সুখুর বিরোধী অন্তত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক কাংড়া অঞ্চলের বাসিন্দা। বিজেপি প্রার্থী হর্ষ কাংড়ারই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। প্রতিভা এবং তাঁর পুত্র তথা হিমাচলের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্যের সঙ্গেও তাঁর ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তা ছাড়া, হিমাচলের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের স্ত্রী পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের আত্মীয়। অমরিন্দর বর্তমানে বিজেপিতে।

প্রতিভার পুত্র তথা সুখু সরকারের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য গত মাসে দলীয় অবস্থানের উল্টো রাস্তায় হেঁটে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধায়কদলে ভাঙনের আঁচ পেয়ে ক্ষোভ প্রশমনের জন্য সনিয়া গান্ধীকে হিমাচলে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সুখু। কিন্তু তা না মেনে, রাজস্থানে প্রার্থী হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন