অমিত শাহ। —ছবি পিটিআই
তিনি বলছেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা। তিনি বলছেন, রাজনীতিতে মুক্ত চিন্তার কথা। অন্য যে কেউ হলে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। কারণ, গণতান্ত্রিক দেশে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বক্তার নাম অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
অনুষ্ঠানটা ছিল একটি বই প্রকাশের। সেখানেই অমিত বলেন, রাজনীতিতে বির্তক ও বিরুদ্ধমতের থাকা প্রয়োজন রয়েছে। এতে চিরাচরিত পথের বাইরে সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। এমন মন্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি লোকসভা ভোটের আগে ভোল বদলাচ্ছেন অমিত?
কারণ, অমিত শাহ তথা বিজেপির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধাক্কা দিয়ে একমাত্রিক ভারত গঠনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। বিজেপি নেতৃত্বের এই আচরণকে ফ্যাসিবাদী বলতেও দ্বিধা করেন না বামপন্থীরা। সেই অমিত এ দিন বলেন, ‘‘সরকারের সমালোচনার দরকার রয়েছে। সংবাদমাধ্যম ইতিবাচক বা নেতিবাচক লিখতে পারে। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’ যে অমিত এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে বারবার, সেই অমিতের মুখে সংবাদমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা নিয়ে এমন কথা শুনে অনেকেরই চোখ কপালে!
অসমের নাগরিক পঞ্জির প্রকাশের পর থেকেই হিন্দু শরণার্থী ও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি করার যে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে, তাতে না ঢুকে গোটাটাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে বলে জানান অমিত। বিজেপি সভাপতির কথায়, ‘‘দেশের ১১৫ কোটি মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই ওই তালিকা তৈরি হচ্ছে।’’
আজ দিল্লিতে অমিতের মুখে এনআরসি নিয়ে এমন কথা শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, শনিবার কলকাতা সফরেও কি একই সুরে বলবেন? না ভোটব্যাঙ্কের লক্ষ্যে সেখানে ফের সুর চড়াবেন পুরনো সুরেই?