অমিত শাহ যে রাজ্যেই পা রাখছেন, সেখানেই বিরোধী শিবির ভাঙছে। এই অভিযোগ নিয়ে এখন সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিজেপি বনাম বিরোধী লড়াই তুঙ্গে। তার মধ্যেই আজ মুখ খুললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
গুজরাতে সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলকে হারানোর জন্য অমিত শাহের কৌশলে ভাঙছে কংগ্রেস। নিজেদের বিধায়কদের বাঁচাতে এখন তাঁদের নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ঘাঁটি গেড়েছে দল। কংগ্রেস দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আজ সংসদেও এ নিয়ে হইচই করল কংগ্রেস। দু’দিন আগে উত্তরপ্রদেশে অমিত শাহ পা রাখার পরে সমাজবাদী পার্টিতেও ভাঙন শুরু হয়েছে। এই অভিযোগের মুখে দাঁড়িয়ে আজ মুখ খুললেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: হাজিরা কম বিজেপির, পাশ ওবিসি সংশোধনী
লখনউয়ে তিনি বললেন, ‘‘গোটা দেশে ঘুরি আমি। সব রাজ্যে আদৌ বিরোধী দল ভাঙছে না।’’ আজ তাঁকে আরও প্রশ্ন করা হয় অন্য দল ভেঙে যাঁরা আসছেন তাঁদের ‘রিটার্ন গিফট’ কী হবে? অমিত শাহ বলেন, ‘‘বিজেপিতে এমন কিছু হয় না।’’
কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, বিরোধী শিবির ভাঙাচ্ছি না, এমন কথা অমিত শাহ বলেননি। গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘আহমেদ পটেল লড়ছেন কংগ্রেসের নেতা হিসেবে। সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নন। অহেতুক এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।’’ কংগ্রেস সূত্রের মতে, শঙ্করসিন বাঘেলাকে সামনে রেখে অমিত শাহ কংগ্রেস ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। অথচ আহমেদ পটেল লড়বার আগে বাঘেলাকে রাজ্যসভায় লড়বার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে বেঙ্গালুরুতে রাখা বিধায়কদের অনেকে গুজরাতে ফিরে যাওয়ার জন্য দলের নেতৃত্বের উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, শেষ মুহূর্তে বিজেপি কোনও খেলা না করলে এখন দলের বর্তমান বিধায়কদের নিয়ে অনায়াসে আহমেদ পটেলকে জিতিয়ে আনা যায়। কিন্তু বিজেপির এক নেতার মন্তব্য, ‘‘পটেলের জয় মানে অমিত শাহের হার। এখনও এক সপ্তাহের বেশি সময়। দেখা যাক, কংগ্রেস নিজেদের ঘর কতটা সামাল দিতে পারে।’’