অসমে নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। প্রথম খসড়ায় বাদ পড়া ৪০ লক্ষ ব্যক্তিকে ফের ‘অনুপ্রবেশকারী’ অ্যাখ্যা দিয়েই ক্ষান্ত হলেন না বিজেপি সভাপতি। তাঁদের কার্যত জঙ্গিও বললেন। মেরুকরণের তাস খেলতে গিয়ে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধীকেও।
দিল্লিতে বিজেপির বুথকর্মীদের সম্মেলনে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘প্রথম তালিকায় ৪০ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত হয়েছেন। রাহুল বাবা এবং তাঁর সহযোগীদের চিন্তা, তাঁরা কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন? তাঁদের নিয়ে এত চিন্তা কেন? তাঁরা কি আপনার মাসির ছেলে? অনুপ্রবেশকারীরা যখন বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন নিহতদের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ হয় না?’’
এরপরেই নাগরিকপঞ্জিকে (এনআরসি) হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদীকে ফের ক্ষমতায় ফেরানোর সওয়াল করেন বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘যতই চেঁচান, নরেন্দ্র মোদী ফের ক্ষমতায় এলে এই অনুপ্রবেশকারীদের এ দেশে কোনও জায়গা দেওয়া হবে না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কোহিমা থেকে কচ্ছ পর্যন্ত এলাকায় এক এক জন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হবে। এরা বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক নয়। এটি দেশের নিরাপত্তার বিষয়।’’
দু’দিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করতে এসেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এনআরসি-র প্রথম তালিকায় বাদ পড়া ৪০ লক্ষই অনুপ্রবেশকারী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সোনোয়াল এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সাংবিধানিক পথেই সেই প্রক্রিয়া
পূর্ণ হবে।’’