প্রধানমন্ত্রী বিদেশে। এই সময় দিল্লিতে ইদের ভোজে সামিল হলেন বিজেপি ও কংগ্রেসের নেতারা। আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন। অরুণ জেটলি বা লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো বিজেপি নেতারা উপস্থিত থাকলেও, যাননি দলের সভাপতি অমিত শাহ। আজ দিল্লিতেই ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ গিয়েছিলেন এই ভোজে। তবে মোদী-অমিত জুটির অনুপস্থিতিতে দিল্লিতে এই ভোজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও ছাড়েনি কংগ্রেস।
অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে নিয়মিত ইদের উৎসবে সামিল হতেন। কিন্তু দশ বছর পরে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ফের বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বদলে যায় ছবিটা। নরেন্দ্র মোদী ইদের শুভেচ্ছা জানালেও নিজে কখনও সামিল হননি এ ধরনের অনুষ্ঠানে। রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণও রক্ষা করেননি। প্রধানমন্ত্রীর ইফতার পার্টি দেওয়ার চলও এখন বন্ধ। সে কারণে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতারাও দিল্লিতে ইফতার পার্টি দেওয়ার রেওয়াজে ছেদ টেনেছিলেন। কিন্তু আজ কোরবানির ইদে শাহনওয়াজ দিল্লিতে ভোজের আয়োজন করলেন, এমন একটি সময়ে যখন প্রধানমন্ত্রী বিদেশে।
বিরোধী শিবিরের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, মোদী দেশে নেই বলেই কি ইদের এই ভোজ আজ রাজধানীতে? আবার অমিত শাহের ভোজ এড়ানো ও বিজেপি নেতাদের একাংশের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস এই অভিযোগও আনে যে, কেন্দ্রে নতুন জমানায় আরএসএসের প্রভাব বাড়ছে বলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিজেপি নেতারা অবশ্য মোদীর অনুপস্থিতিতে দিল্লিতে এই ভোজকে লঘু করেই দেখতে চাইছেন। দলের এক নেতার কথায়, ইদের সময় ইফতার পার্টির আয়োজন করা বা তাতে সামিল হওয়াটা কোনও সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের কথা বলে এসেছেন। আবু ধাবির মসজিদেও গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে নেই বলেই এই আয়োজন, এমন ধারণার কোনও ভিত্তিই নেই। শাহনওয়াজের ভোজে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মুখপাত্র জি ভি এল নরসিংহ রাও। তাঁর কথায় ‘‘কংগ্রেস অযথা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। আমাদের লক্ষ্য ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সকলে।’’