Amit Shah

বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির সমর্থনে অমিত

মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফের এক্তিয়ার তথা টহলদারির পরিধি বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৪৮
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।

বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি। আজ সংসদে মাদক নিয়ে বিতর্কে সেই প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী রাজ্যগুলি আসলে রাজনীতি করছে বলে পাল্টা সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বললেন, ‘‘যাঁরা বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা আসলে মাদক পাচারকারীদের হাত শক্ত করছেন।’’

Advertisement

মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফের এক্তিয়ার তথা টহলদারির পরিধি বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে। যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, পঞ্জাবের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার আপত্তি জানায়। বিরোধী শিবিরের যুক্তি ছিল, বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আজ লোকসভায় মাদক নিয়ে বিতর্কে সেই যুক্তির পাল্টা জবাব দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ মাদক বাজেয়াপ্ত করবে কিন্তু তাদের মামলা করার কোনও অধিকার থাকবে না। তা হলে বিএসএফ কাজ করবে কী ভাবে?’’ এর পরেই বিরোধী রাজ্যগুলির মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাহ বলেন, ‘‘বিএসএফকে বাড়তি ক্ষমতা দিলেই বলা হচ্ছে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ। এ নিয়ে আসলে যাঁরা বলছেন, তাঁরা রাজনীতি করছেন। বিএসএফ তো বাইরের কোনও বাহিনী নয়। যাঁরা ওই প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা আসলে মাদক পাচারকারীদের হাত শক্ত করছেন।’’

একই সঙ্গে আজ মাদক বিতর্কে নাম না করে রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেছেন অমিত শাহ। সদ্য গুজরাত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী সে রাজ্যের মুন্দ্রা বন্দরে বিপুল মাদক উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, গুজরাত মাদক পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আজ নিজের বক্তব্য সরাসরি রাহুলের নাম না করে শাহ বলেন, ‘‘সম্প্রতি একজন নেতা, যিনি এখন সংসদে নেই, যাত্রায় ব্যস্ত, তিনি গুজরাতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন গুজরাত মাদক পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কোনও রাজ্যে মাদক উদ্ধার হওয়া মানে সেই রাজ্যের এজেন্সি ভাল কাজ করছে। সে দিক দেখতে গেলে পঞ্জাবে মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কম। তা হলে ধরে নিতে ওই রাজ্যে মাদক নেওয়ার কোনও চল নেই!’’ আগামী দিনে মাদক পাচারের চাঁইদের ধরতে সব রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার উপরে জোর দেন শাহ। তিনি বলেন, কোনও পানের দোকানির কাছে যদি মাদকের পুরিয়া উদ্ধার হয়, সেখানেই থেমে গেলে হবে না। সেই মাদক কোথা থেকে প্রবেশ করে কোন পথে, কত হাত ঘুরে ওই দোকানির কাছে এসে পৌঁছেছে, সেই গোটা নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করতে হবে।

Advertisement

মোদী সরকারের আমলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তার অভিযোগ নিয়েও সরব রয়েছেন বিরোধীরা। আজ শাহের কিন্তু বক্তব্য, ‘‘এজেন্সিগুলিকে ক্ষমতা দিতে হবে। ক্ষমতা না দিলে এজেন্সি কাজ করবে কী ভাবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন